ভারতেও কি থাবা বসাল ওমিক্রন? মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রী
ভারতেও কি থাবা বসাল ওমিক্রন? মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রী
ওমিক্রন আতঙ্ক ভারতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা এক যাত্রীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্রে। দিল্লি হয়ে মুম্বই বিমানবন্দরে এসেছিলেন তিনি। তাঁর সোয়াব পাঠানো হয়েছে জেরম সিকোয়েন্সের জন্য। জানা গিয়েছে যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি কেপটাউন থেকে দুবাই হয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন। দিল্লিতে নমুনা পরীক্ষার পর তাঁকে মুম্বইয়ে বিমান ধরার অনুমোদন দেওয়া হয়। মুম্বই বিমান বন্দরে পৌঁছনোর পর তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। তখনই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হাতে আসার পরেই মুম্বই পুরসভার পক্ষ তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যদিও জানা গিয়েছে কোনও উপসর্গ নেই সেই করোনা আক্রান্ত রোগীর। সেকারণে তাঁকে বাড়িতই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত শনিবারই মুম্বই পুরসভার থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের আরটিপিসিআর টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ১১ দফায় গাইডলাইন জারি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোন দেশ থেকে তাঁদের ৮ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
যেসব দেশে ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে সেই সব দেশ থেকে গত ১৫ দিনে প্রায় ৪৬৬ জন যাত্রী এসেছে মহারাষ্ট্রে। তাঁদের সকলের আরটিপিসিআর টেস্ট করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ েথকে এখনও পর্যন্ত ৯৭ জন যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কারণ এই ৯৭ জন যাত্রী মুম্বইয়েই রয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের শরীরে কোনও রকম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়নি। সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই দেশে সর্বাধিক সংক্রমণ েথকেছে মহারাষ্ট্রে তারপর কেরল ও গুজরাত। সেকারণে আগে থেকেই এবার সতর্ক মহারাষ্ট্র সরকার। সেকেন্ড ওয়েভের পর মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। বি.১,১,৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেদ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। দক্ষিণ আফ্রিকার একাধিক দেশে এই ভ্যারিেয়ন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েল এবং অস্ট্রেলিয়াতেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েনটের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সব রাজ্যকে এই মিয়ে সতর্ক করা হয়। সেই চিঠিতে নতুন করে কোভিড বিধি কড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েেছ। তারপরেই একের পর এক রাজ্য বিমানবন্দরগুলিকে করোনা বিধি নতুন করে কড়া করেছে।
বেশ কয়েকটি দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েল। এই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নজরদারি, করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো এবং দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিংযের জন্য নমুনা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।