২১ দিনের লকডাউন:অর্থমন্ত্রকের প্যাকেজ কি গরিবদের কষ্ট ঘোচাতে পারবে! বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
২১ দিনের লকডাউন:অর্থমন্ত্রকের প্যাকেজ কি গরিবদের কষ্ট ঘোচাতে পারবে! বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
করোনার জেরে ২১ দিনের লক ডাউনের জেরে এদিন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি এদিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১.৭ লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তবে এই আর্থিক প্যাকেজ কি আদৌ ভারতের গরিবদের স্বস্তি দেবে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
আর্থিক প্যাকেঝ ও কয়েকটি তথ্য
আর্থিক বিশ্লেষকরা নির্মলা সীতারমনের আজকের ঘোষমা থেকে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য ও স্যানিটাইজেশ কর্মীদের ৫০ লাখ টাকা মাথাপিছু ইনশিওরেন্সের কভারেজের অর্থ সরকার কীভাবে যেগাবে, যেখানে আর্থিক পরিস্থিতি এমন ধরাশায়ী? ২০ লাখ মানুষের জন্য এই পরিষেবা কী বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে আসবে ? সরকার এতে কত প্রিমিয়াম দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন।
গরিবদের চাল দেওয়া ও কিছু বিশ্লেষণ
২১ দিনের লকডাউনে গরিবরা যাতে অভুক্ত না থাকেন তার জন্য, ৫ কেজি চাল যাঁরা বিনামূল্যে পান তাঁদের কাছে আগামী ৩ মাস তার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে, বলে আজ জানানো হয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যে এই পরিমাণ শস্য মজুত কীভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন
এমনারেগা থেকে পিম কিষাণ ও মহিলা জনধন যোজনা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এই যোজনাগুলির আওতায় থেকেও উপভোক্তাদের পক্ষে লকডাউনের মাঝে কীভাবে নগদ এসে পৌঁছবে বা মহিলাদের পরিস্থিতিল আদৌ উন্নত করতে সক্ষম হবে কী না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রশ্ন উঠছে ইপিএফ নিয়েও
ইপিএফ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এদিন যা ঘোষণা করেন আগামী ৩ মাসের জন্য তাও প্রশ্নের মুখে। ৩ মাসের জন্য যে সমস্ত সংস্থার কর্মী সংখ্যা ১০০ জন তাদের সাহায্য করবে সরকার। এবং ৯০ শতাংশ কর্মীরা যেখানে ১৫ হাজার টাকার নিচে বেতন পান। এক্ষেত্রে নন রিফান্ডেবল অর্থের অঙ্ক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইপিএফ স্কিম সংশোধনীর জেরে , যা ৪.৮ কোটি কর্মীর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও বিনামূল্যের গ্যাস সিলিন্ডার যা ৮. ৩ কোটি মানুষের জন্য ঘোষণা হয়েছে, তা লকডাউনের জেরে সমস্যা সমাধান করতে নাও পারে বলে আশঙ্কা। কারণ কর্মসূচি কার্যকরী হওয়া পর্যন্ত সবজি বা শস্যের রেশনিং এর ওপর গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে।