করোনা ঠেকাতে প্রশ্নের মুখে এমএমআর ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা, জানুন কি বলছে সিরাম ইন্সটিটিউট
করোনা ঠেকাতে প্রশ্নের মুখে এমএমআর ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা, জানুন কি বলছে সিরাম ইন্সটিটিউট
ইতিমধ্যেই ৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ধার্য এমএমআর প্রতিষেধককে নিয়ে একাধিক বিভ্রান্তি ছড়াতে দেখা গেছে বিভিন্ন মহলে। রবিবার তারই জবাব দিল পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া(এসআইআই)। এসআইআইয়ের গবেষকদের মতে, দেশজুড়ে অনেকেই করোনার বিরুদ্ধে আশা হিসেবে মিসলস-মাম্পস-রুবেলা(এমএমআর) ভ্যাক্সিনকে বেছে নিলেও এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে এই এমএমআর প্রতিষেধক যে কার্যকরী, তার কোনও সঠিক প্রমাণ নেই।
এমএমআর প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী এসআইআইয়ের বক্তব্যে চাঞ্চল্য
দেশে এমএমআর প্রতিষেধক প্রস্তুতিতে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে পুনের এই সংস্থা। এসআইআইয়ের তরফে জানান হয়েছে, করোনার ভয়ে একমাত্র আশা হিসেবে দেশের প্রাপ্তবয়স্করা এমএমআর ভ্যাকসিনের পিছনে ছুটলেও, এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে এমএমআর প্রতিষেধকের রুখে দাঁড়ানোর কোনও দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ নেই। এর জেরে স্বভাবতই ধন্দে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে ওষুধ বিক্রেতা প্রত্যেকেই।
একের পর এক প্রতিষেধকের নাম উঠে আসায় ভ্রান্ত প্রত্যেকেই
ইতিপূর্বে এমএমআর ভ্যাকসিন ছাড়াও যক্ষ্মার বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়েও একইরকম ধারণা ছড়িয়েছিল জনসাধারণের মধ্যে। যদিও এমএমআর প্রতিষেধকের তুলনায় অনেকটাই ভালো জায়গায় এই বিসিজি ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে এসআইআইয়ের বিসিজি প্রতিষেধক মহারাষ্ট্রে ট্রায়ালের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও এনেছে এই প্রতিষেধক।
এসআইআইয়ের তরফে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি
এসআইআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "একটি দায়িত্ববান প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী হিসেবে প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, এখনও পর্যন্ত মিসলস যুক্ত কোনও প্রতিষেধক বা এমএমআর প্রতিষেধক যে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম, তা নিয়ে গবেষণা ও ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এমএমআর প্রতিষেধকে মাম্পস রুখতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ১০ বছরের অধিক বয়সীদের জন্যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে, তাই এ বিষয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা দরকার।"
এমএমআরের বদলে তবে কি এমআর?
এসআইআইয়ের গবেষকের মতে, ১০ বছরের ঊর্ধ্বে এমএমআর প্রতিষেধক ব্যবহারে প্রতিষেধক প্রয়োগের স্থানে ব্যথা, চুলকানি, গা-বমি বা জ্বরের ন্যায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তাই এসআইআইয়ের এক গবেষকের মতে, এমএমআর প্রতিষেধকের বদলে এমআর(মিসলস ও রুবেলা) প্রতিষেধক ব্যবহারে কাজ হতে পারে। যদিও এমএমআর হোক বা এমআর, করোনার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিষেধক ব্যবহারের আগেই যে দরকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, তা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি গবেষকরা।
করোনা ভাইরাস পদ্ধতিগত রোগ, যা গোটা শরীরের সঙ্গে জড়িত, দাবি ডাঃ রনদীপ গুলেরিয়ার