লকডাউন জারি থাকবে এই জায়গাগুলিতে! করোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
ভারতে করোনা সংক্রমণের হার হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। সৌজন্য দিল্লির মসজিদে হওয়া ধর্মীয় সমাবেশ। দেশে করোনা সংক্রমণের এই প্রবণতা অব্যহত থাকলে আগামী ৬ দিনের মধ্যে এই মারণ ভাইরাসে দেশের ১০,০০০ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে আগামী ১৪ তারিখ কী উঠবে
করোনা হটস্পট
ভারতে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে করোনার ভাইরাসের ঘটনা প্রচুর পরিমাণে ঘটেছে। সরকার এর নাম দিয়েছে হটস্পট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সারাদেশে ২০টি জায়গা চিহ্নিত করেছে। যেখানে করোনার ভাইরাসের রোগীদের সংখ্যা অস্বাভাবিক এবং অন্যান্য জায়গাগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এই হটস্পটস হিসাবে চিহ্নিত ২০টির মধ্যে দুটি দেশের রাজধানীতে রয়েছে।
হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত কোন স্থানগুলি?
হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির দিলশাদ বাগান এবং নিজামুদ্দিন, নয়ডা-মিরাট, ভিলওয়ারা, আহমেদাবাদ, কসরগড়-পাঠানমথিট্টা, মুম্বই এবং পুনে। এছাড়া আরও ২২টি সম্ভাব্য হটস্পট-এর উপর নজর রাখছে সরকার। সেখান থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগের কাজ করছে সরকার।
কোথায় কতজন আক্রান্ত?
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ইতিমধ্যেই মোট ৭৪৮ জন সংক্রামিত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। আক্রান্তের সংখ্যায় এরপর রয়েছে কেরল (৩১৪), তেলেঙ্গানা (২৭২), উত্তরপ্রদেশ (২৭৬), অন্ধ্রপ্রদেশ (২৫২) এবং রাজস্থান (২১০)। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এর পরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (১৩), গুজরাত (১১) ও তেলেঙ্গানা (১১)।
দীর্ঘ করা হতে পারে লকডাউন
এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনা ঠেকাতে আরও দীর্ঘ করা হতে পারে লকডাউনের সীমা। তবে তা হতে পারে শুধু হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত জায়গাগুলোতেই। আসলে লকডাউনের মধ্যেও মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের মধ্যেও যদি এই হারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যায় তবে লকডাউন উঠে গেলে দেশের কী পরিস্থিতি হতে পারে তা ভাবতেও পারছে না কেউ। এহেন পরিস্থিতিতে লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় হয়ত থাকবে না।
কী হবে ১৪ তারিখের পর?
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে ১৪ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন জারি থাকবে না। তবে এই লকডাউন উঠে গেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে জানা যাচ্ছে লকডাউন না থাকলেও দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় ধোঁয়াশা
তবে মোদী বারবার লম্বা যুদ্ধের কথা বলছেন, যাতে জল্পনা বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, লকডাউন লম্বা করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সরকারিভাবে সেরকম কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি দেখেই ১৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।