প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আটকে করোনার লড়াই! প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী
১৭ মে তারিখের পরে কী হবে? লকডাউন কি আদৌ উঠবে, নাকি তার মেয়াদ ফের বাড়ানো হবে? কী ভাবছে কেন্দ্র? দেশের করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন নিয়ে কী পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার? এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই। সেই বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ও প্রস্তাব রাখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
লকডাউন তোলার পরে কী হবে দেশের?
শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি সাংবাদিক সম্মেলন এই বিষয়ে রাহুল বলেন, 'লকডাউন তোলার পরেও বা কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেবিষয়ে সরকারের স্বচ্ছ বার্তা দেওয়া উচিত। ওঁরা কখন লকডাউন তুলবে, কী করবে সেবিষয়গুলো আমাদের সকলেরই জানা উচিত।'
প্রধানমন্ত্রী দফতরে আটকে করোনার লড়াই
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কেন্দ্রীয় স্তর থেকে করোনা নির্মূল চেষ্টা করছেন তার বিরোধিতা করেন রাহুল। এদিন তিনি ববলেন, 'যদি আমরা এই লড়াই প্রধানমন্ত্রীর দফতরেই আটকে রাখি তো আমরা হারব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিত সবাইকে ক্ষমতা দেওয়া।'
রাজ্যগুলির হাতে বেশি ক্ষমতা দিতে বলেন রাহুল
একদিন আগেই কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন রাহুল আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করছেন, সেটা হয়তো তাঁর ধরন। কিন্তু আমাদের শুধু একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী নয়, অনেক শক্তিশালী নেতা চাই। আমাদের শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী, শক্তিশালী জেলাশাসক চাই। পঞ্চায়েত স্তর, জেলা স্তরের প্রশাসনের সাহায্যেই আমরা এই সংক্রমণকে থামাতে পারি। জাতীয় স্তরে লড়াই করে করোনাকে হারানো যাবে না।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে যা বলেন রাহুল
লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে রাহুল বলেন, 'সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করার সময় নয়। আমাদের গোটা দেশে ঠিক কতগুলো রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোন আছে তা নিশ্চিত নয়। কিছু সময় অন্তর অন্তরই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক ও দেশের দরিদ্রদের অবিলম্বে অর্থ সাহায্য় করা প্রয়োজন। যা অবস্থা তাতে কেন্দ্র পদক্ষেপ না করলে একের পর এক মানুষের চাকরি যাবে, রীতিমতো বেকারত্বের ঝড় বয়ে যাবে।'
নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন, ভারতের জবাবে নিহত অন্তত ৩ পাক সেনা!