করোনার প্রভাব, অযোধ্যায় নবরাত্রির উৎসবে ভক্তদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা
করোনার প্রভাব, অযোধ্যায় নবরাত্রির উৎসবে ভক্তদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে অযোধ্যায় নবরাত্রি উৎসব বন্ধ রাখা হবে। মণি রাম দাস ছাবনি পীঠ আশ্রম, যেখান থেকে অযোধ্যা পরিচালনা করেন রাম জন্মভূমি ন্যাস, তারাই শনিবার ভক্তদের কাছে আবেদনন করেছে যে অযোধ্যায় নবরাত্রি উৎসবের জন্য কেউ যাতে না আসে এবং ২ এপ্রিল রাম নবমী মেলাও হবে না এখানে।
অযোধ্যায় নবরাত্রিতে থাকবে না ভক্তরা
নয় দিনের দীর্ঘ এই নবরাত্রি ২৫ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। এরপর ২ এপ্রিল হয় রাম নবমী মেলা। যেখানে গোটা রাজ্য, বিশেষ করে সংলগ্ন জেলা থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় অযোধ্যাতে। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসে উত্তরপ্রদেশেই আক্রান্ত ৩৩ জন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস, তাঁর উত্তরসূরি কমল নয়ন দাস সাংবাদিকদের জানান যে অযোধ্যায় নবরাত্রির সময় ভক্তদের আসার দরকার নেই। মহন্ত কমল নারায়ণ দাস বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ফলে অযোধ্যায় নবরাত্রিতে ভক্তদের আসীআর দরকার নেই। আমরা নিজ নিজ ঘরে এই উৎসব সমারোহের সঙ্গে পালন করব।'
কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন
কমল নয়ন দাস আরও বলেন, ‘ভক্তদের উৎসাহের জন্য রাম নবমী মেলার আয়োজন করারও দরকার নেই। আমরা নিজেদের বাড়িতে রাম নবমী পালন করব। এটা জাতীয় বিপর্যয় ও দেশের সুরক্ষা সবার প্রথমে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরকারের এই লড়াইকে আমরা সমর্থন করি।' অযোধ্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই রাম নবমী মেলা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভক্ত ছাড়াই হবে রাম লল্লার পুজো
২২ মার্চ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘জনতা কার্ফু'র কারণে রাম জন্মভূমিতে বিশেষ পুজোর আয়োজনও পিছিয়ে দেওয়া হয়। দু'দিনের এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৩ মার্চ থেকে। রাম লল্লাকে রাম জন্মভূমির স্থায়ী মন্দির থেকে স্থানান্তর করে অন্য একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ২৫ মার্চ ভোরে এই বিশেষ পুজো করা হবে। যেটাকে নবরাত্রির প্রথম দিন হিসাবে ধরা হয়। যদিও এ বছর এই পুজোয় ভক্তরা কেউ থাকবেন না এবং রাম লল্লা স্থানান্তরও জনসমক্ষে হবে না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২৫ মার্চ অযোধ্যায় এই উপলক্ষ্যে যেতে পারেন।