ভারতে করোনা গ্রাফে ফের পতন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১২ হাজার ৪২৮ জন, পরিসংখ্যান একনজরে
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দৈনিক হারে ফের পতন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার, ৪২৮ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৫,৯৫১ জন। এই পরিস্থিতিতে ভারতে উৎসবের মরশুমে করোনা গ্রাফের কমতি রীতিমতো তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছেন অনেকেই। দুর্গাপুজোর পর যেখানে কলকাতার মতো শহরে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, সেখানে দেশে সার্বিক দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় কমতি খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে।
গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৩০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেই জায়গা থেকে এদিন আরও নেমে এসেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, গতকালের রিপোর্ট বলছে, কাল পর্যন্ত সময় ধরে শেষ ২৩৯ দিনে সর্বনিম্ন করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে দেশে সুস্থতার হার ছিল ৯৮. ১৮ শতাংশ। ফলে এই জায়গা থেকে উৎসবের মরশুমে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে দেশে যে পাাঁচটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো সংকট রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আগে রয়েছে কেরল ও মহারাষ্ট্র। কেরল ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে এই দুই রাজ্যে কেরল ঘিরে উদ্বেগ কাটছেনা। তবে আগের থেকে কেরলের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমতির দিকে।
এদিকে, করোনার জেরে দেশে মৃতের সংখ্যা এদিনের গ্রাফে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে। গতকালের রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬৩ জন, এদিন ৩৫৬ জনের মৃত্যুর খবর আসে। ফলে আপাতত দেশে করোনার জেরে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হু হু করে নিচে নেমে যেতে দেখা যাচ্ছে। দেশে মোট করোনার বলি হয়েছেন ৪ লাখ, ৫৫ হাজার ৬৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ যেমন এদিন পড়তির দিকে, তেমনই এদিন দেখা গিয়েছে অ্যাক্টিভ কেসও নামতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে দিওয়ালির আগে তা রীতিমতো তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। করোনার জেরে চিকিৎসাধীন রোগীদের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৬ জন। গত দিনের তুলনায় তা ৩ হাজার ৮৭৯ কম রয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিডের দাপট কমাতে, মানব সভ্যতার হাতে এই মুহূর্তে একমাত্র অস্ত্র হিসাবে রয়েছে টিকা। ভ্যাকসিনেশনের ওপর তাই জোর দেওয়া হচ্ছে। যত বেশি ভ্যাকসিনেশন হবে,ততটাই করোনার ছডিয়ে পড়া ও দাপট রোখা যাবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। তবে দেশে রেকর্ড সংখ্যক ভ্যাকসিন ডোজের পর আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে কমতি দেখা যাচ্ছে।