দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ১ লক্ষে, স্বস্তি বাড়িয়ে হাজারের নিচে নামল সংক্রমণ
করোনার দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েশে দেশে। রবিবার করোনায় দৈনিক মৃত্যুও নামল হাজারের নিচে। কযেকদিন ধরেই মৃতের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল ভারতে। এদিন অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমে এক লক্ষের সামান্য বেশি।
করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ে সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। সেই মৃতের সংখ্যা এদিন কনে হাজারের নীচে নেমেছে। ইতিমধ্যে এক মাস অতিক্রান্ত করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে বর্তমানে। প্রায় তিন লক্ষ করে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছিল, সেখানে এদিন এক লাখে নেমেছে দৈনিক সংক্রমণ।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ১,০৭,৪৭৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এদিন মৃত্যু কমে হয়েছে ৮৬৫। তিন-চারদিন আগে ১২০০-র বেশি মৃত্যুসংখ্যা ছিল। সেই তুলনায় কমেছে মৃত্যু। তবে করোনামুক্তের সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি এদিন।
করোনার মোট সংক্রমণ চার কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই মুহূর্তে দেশে করোনার মোট সংক্রমণ ৪,২১,৮৮,১৩৮। করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে ওমিক্রনের কাঁধে ভর করেই এক লাফে করোনার দৈনিক সংক্রমণ উঠে গিয়েছিল ৩ লক্ষের উপরে। এখন তা কমে এক লক্ষ। এদিন পজিটিভিটি রেট কমে হয়েছে ৭.৪২ শতাংশ।
ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউও সুনামির আকার নিয়েছিল। আবার দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেশ বেড়েছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা দিন কয়েক ধরে ১০০০-র উপরে ছিল। এদিনও করোনার দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৮৬৫। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০১,৯৭৯-এ পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৪৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, যা সারা দেশে মোট করোনামুক্তের সংখ্যাকে পৌঁছে দিয়েছে ৪,০০,০৫,৫১৪-এ। এদিন পরিসংখ্যান দেখিয়েছে দেশে সংক্রমণের গ্রাফ কমেছে, করোনায় মৃত্যুহারও কমেছে একটু। করোনার দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার ও করোনা মুক্তের সংখ্যা স্বস্তি দিলেও বিশেষজ্ঞরা কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কিত ছিলেন মৃতের সংখ্যা নিয়ে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেও দৈনিক সংক্রমণ ছিল মাত্র সাত হাজার। সেখান থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সংক্রমণ দু'লক্ষের উপরে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন তা অবশ্য এক লাখের কাছে। পজিটিভিটি রেটও ৭-এ নেমেছে। দেশে মোট সক্রিয়ের সংখ্যা ১২ লক্ষ ২৫ হাজার ১১। দেশে মোট ১৬৯ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৯৭ উপরে করোনা ভ্যাকসিন হয়েছে।
এদিনও করোনার সর্বোচ্চ সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে কেরলে। কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের থেকে প্রায় তিন গুণ সংক্রমণ হয়েছে কেরলে। করোনার মোট সংক্রমণে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে সবার প্রথম মহারাষ্ট্র। তারপরে রয়েছে কেরল। কর্নাটক তিন নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ৭ নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।