করোনা ধাক্কায় ধুঁকছে অর্থনীতি! বাড়ছে দারিদ্রতার পরিমাণ, আরবিআই-র রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ
করোনা ধাক্কায় ধুঁকছে অর্থনীতি! বাড়ছে দারিদ্রতার পরিমাণ, আরবিআই-র রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ
করোনা ধাক্কায় দেরবার দেশীয় অর্থনীতি। একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। পাশাপাশি বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ সাথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়াও গোটা দেশে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কচোনের পূর্বাভাস দিয়েছে। রোকর্ড পরিমাণ পারাপতন লক্ষ্য করা গেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও।
কমছে খরচের পরিমাণ
এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতির নিদারুণ অবস্থা নিয়ে ফের আশঙ্কাবাণী শোনাতে দেখা গেল আরবিআইকে। আরবিআইয়ের সাফ কথা কোভিডের ধাক্কায় অর্থনীতৈক প্রবৃদ্ধির যে মন্থর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পুনরুদ্ধার হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। করোনা সঙ্কটে সাধারণ মানুষের খরচ ও চাহিদার পরিমাণ লক্ষ্যনীয় ভাবে কমে যাওয়াতেই দেশীয় অর্থনীতি এই তীব্র সঙ্কটে পড়েছে বলে মত তাদের। আর এই সঙ্কটের ফলে পরোক্ষভাবে তীব্র ক্ষতির মুখে পড়ছেন দেশের দ্ররিদ্র শ্রেণির মানুষেরা।
স্থানীয় লকডাউনের ফলে থমকেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
এদিকে জুন থেকে আনলক পর্ব শুরু হলেও একাধিক রাজ্যে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণের জেরে ফের স্থানীয় ভিত্তিতে লকডাউন শুরু হয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনমানে। এদিকে চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণে কমেছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যার জেরে বড়সড় পারাপতন লক্ষ্য করা গেছে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে। ফলে দেশীয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার অনেকটাই থমকে গেছে বলে মত আরবিআইয়ের।
কোন কোন ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি ?
সূত্রের খবর, আরবিআইয়ের পূর্ববর্তী পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার থাকবে -৪.৫%। আগামীতে করোনা সঙ্কট বজায় থাকলে এই বৃদ্ধি নামতে পারে -৭.২ শতাংশে। এদিকে এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ছে উত্পাদন ক্ষেত্রেও। প্রভাব পড়েছে খনি শিল্পেও। আরবিআইয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই দুই ক্ষেত্রে আয় কমতে পারে ২.৭ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কি বলছে আরবিআই ?
এদিকে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক বৃদ্ধির হার মারাত্মক ধাক্কা খেতে পারে। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে আর্থিক মন্দা গত আট দশকের আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মত তাদের। ছাপিয়ে যেতে পারে ২০০৯ সালে বিশ্ব আর্থিক মন্দার রেকর্ডও। তলানিতে ঠেকবে বিশ্ব বাণিজ্য। এদিকে আরবিআই সূত্রে খবর, ভারতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়লেও আগামীতে তা খানিকটা কমতে পারে বলেই মত।
আগেই সতর্ক করেছিলাম, RBI এতোদিনে সিলমোহর দিল, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক রাহল