২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত ৪৭২, মৃত ১১! তবলিঘ-ই-জামাতের জন্য ৪.১ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে ৪.১ দিন। যা হয়েছে তবলিঘ-ই-জামাতের সৌজন্যে। তা না হলে ৭.৪ দিনে তা দ্বিগুণ হত। এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে ৪.১ দিন। যা হয়েছে তবলিঘ-ই-জামাতের সৌজন্যে। তা না হলে ৭.৪ দিনে তা দ্বিগুণ হত। এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
২৪ ঘন্টায় মৃত ১১, আক্রান্ত ৪৭২
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ২৪ ঘন্টায় দেশে ৪৭২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ১১ জনের মৃত্যুও হয়েছে। সারা দেশে এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৭৪। অন্যদিকে ২৬৭ জনের রোগ মুক্তি ঘটেছে।
সংবাদ মাধ্যমের অন্য দাবি
যদিও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযাযী, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সারা দেশে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬২৪ হয়েছে। অন্যদিকে ২৮৪ জন ছাড়া পেয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেন, কেন্দ্রের ঘোষণায় সংখ্যাতাত্মিক গরমিল রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
করোনা বায়ুবাহিত নয়, জানিয়েছে আইসিএমআর
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস কোনওভাবেই বায়ুবাহিত নয়। প্রমাণের ভিত্তিতে একথা বলা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। যদি বায়ু বাহিতই হতো, তাহলে কোনও পরিবারের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে, অপর কারও রোগ সেই সময় প্রকাশ হয়ে পড়ত। কিন্তু তা হচ্ছে না।
দ্রুত আক্রান্ত বৃদ্ধির জন্য দায়ী তবলিঘ-ই-জামাত
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি তবলিঘ-ই-জামাতের ঘটনা না ঘটত, তাহলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হত ৭.৪ দিনে। কিন্তু বর্তমানে তা দ্বিগুণ হয়েছে ৪.১ দিনে।
ক্যাবিনেট সচিবের বৈঠক
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গওবা। তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সিএমও, রাজ্য ও জেলার নজরদারি অফিসার, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব এবং মুখ্যসচিবরা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন, সব থেকে বেশি আক্রান্ত হওয়া জেলবা আগ্রা, ভিলওয়াড়া, গৌতম বুদ্ধনগর, পাঠান মিঠা এবং পূর্ব দিল্লির প্রশাসনও। কর্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতা অন্য জেলাগুলির সঙ্গে শেয়ার করেন। এদিকে সারা দেশে থাকা ৭৩৬ টি জেলার মধ্যে ২৭৪ টিতে করোনা আক্রান্তে দেখা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্মসচিব জানিয়েছেন, সব জেলাশাসককে বলা হয়েছে, এলাকায় থাকা ওযুধ তৈরির কারখানাগুলো যেন ওষুধ তৈরি বন্ধ না করে।