হাঁপানির রোগীদের সহজে ছুঁতে পারে না মারণ করোনা, নয়া গবেষণায় শোরগোল চিকিৎসক মহলে
প্রথম সংক্রমণের পর ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও গোট বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারণ করোনা। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ। মারা গিয়েছেন প্রায় দেড় কোটির কাছাকাছি মানুষ। যদিও নতুন বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিনের দেখা মিলবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এমতাবস্থায় হাঁপনি ও করোনা যোগসাজস নিয়ে সামনে এল একটি নতুন রিপোর্ট।

হাঁপানি রোগীদের করোনা ভয় অনেকটাই কম
সদ্য প্রকাশিত ওই রিপোর্টে গবেষকরা স্পষ্টতই জানাচ্ছেন হাঁপানির রোগীদের সহজে ছুঁতে পারে না মারণ করোনা। অথচ এতদিন করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে সমস্ত মানুষদের আগে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারাই করোনাকালে সর্বাধিক ঝুঁকি পূর্ণ। এমনকী কোমরবিডিটির রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল সর্বোচ্চ। সেখানে নয়া রিপোর্ট সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

ক্লিনিকাল ইমিউনোলজির জার্নালে প্রকাশিত নয়া গবেষণাপত্রকে ঘিরেই শোরগোল
২৪ নভেম্বর অ্যালার্জি এবং ক্লিনিকাল ইমিউনোলজির জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই নয়া দাবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানেই গবেষকরা স্পষ্টতই জানাচ্ছেন রিসার্চ প্রক্রিয়া চলার সময় তারা স্পষ্টতই দেখেছেন যে সমস্ত মানুষদের আগে থেকে অ্যাজমা বা হাঁপানি ছিল তাদের অনেকটাই কম করোনা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন।

ইজরায়েলের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য ব্যবহার করেই চলে গবেষণা
যদিও এই বিষয়ে পুরোপুরো নিশ্চিত হতে আরও বিশদ গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তারা। যদিও শুধুমাত্র ব্রোঙ্কিয়াল হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কোভিড -১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা জানতেই পুরো গবেষণাটি চালানো হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে প্রাপ্ত তথ্যের ব্যবহার করা হয়েছিল।

কী ভাবে নিশ্চিত হলেন গবেষকরা ?
অন্যদিকে গোটা গবেষণা প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত রোগীদের চিহ্নিত করে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছিল তাদের মধ্যে ইহুদি ও আরবের জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যাধিক্য বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূলত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত ৩৭ হাজার ৪৬৯ জনের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ফলাফল সামনে আনা হয়। এদের মধ্যে ৬.০৫ শতাংশ বা সংখ্যার হিসাবে ২২৬৬ জনের পরবর্তীকালে করোনা ধরা পড়ে। এদিকে করোনা মুক্ত রোগীদের মধ্যে হাঁপানির শিকার ছিলেন প্রায় ৩ হাজার ৩৮৮ জন। সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাঁপানির শিকার ছিলেন মাত্র ১৫৩ জন।

শুভেন্দু কি হাজির হবেন মমতার মঞ্চে! মেদিনীপুরের সমাবেশ ঘিরে এখন চড়ছে জল্পনা