কোভিশিল্ডের প্রথম শট নেওয়া করোনা যোদ্ধাদের খোশমেজাজে সাহসী দেশ
শনিবার থেকে দেশজুড়ে কোভিড ১৯-এর টিকাকরণ শুরু হয়েছে। পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডের প্রথম শট নিলেন করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করা স্বাস্থ্য কর্মীরা। টিকাকরণ শুরু হয়েছে এ রাজ্যেও। তা কতটা সুরক্ষিত, কোভিড ১৯ টিকায় কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে যে সব মানুষের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে, তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়া করোনা যোদ্ধারা।

দিল্লি
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এআইআইএমএস-এর স্যানিটেশন কর্মী মনীশ কুমার দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম শট নিয়েছেন। ৩৪ বছরের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে টিকা নেওয়ার পর তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা অনুভূত হচ্ছে না। টিকা নেওয়ার পর তাঁর মন থেকে সে সংক্রান্ত ভয়ও চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুকেশ। তাঁর দেখাদেখি দেশের অন্যান্য নাগরিকও টিকা নিতে এগিয়ে আসুক, চান দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এআইআইএমএস-এর ওই স্যানিটেশন কর্মী

মুম্বই
করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে দেশের যে শহরে, সেই মু্ম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে প্রথম কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন ডাক্তার জীতেন ভাবসার। জানিয়েছেন যে এটা তাঁর ও দেশের কাছে এক অত্যন্ত গর্বের দিন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হওয়া দুটি টিকাই সুরক্ষিত বলে দাবি করেছেন ডাক্তার ভাবসার।

লখনৌ
উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ের লোহিয়া হাসপাতালে প্রথম কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন ৫১ বছরের অরুণ কুমার শ্রীবাস্তব। ২০০৮ সাল থেকে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকা ওই ব্যক্তি মনে করেন, দেশের মানুষের মন থেকে টিকা সংক্রান্ত ভয় দূর হওয়া উচিত। কোভিশিল্ডের চরিত্র অন্যান্য প্রতিষেধকের থেকে আলাদা নয় বলে জানিয়েছেন অরুণ কুমার শ্রীবাস্তব।

কলকাতা
কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালের আইসিএইউ-তে ১০ মাস কর্তব্য পালন করা ডাক্তার বিপাশা শেঠ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষকে চোখের সামনে প্রাণ হারাতে দেখেছেন তিনি। এই টিকা সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করেন কলকাতার ডাক্তার। কোভিশিল্ড নিয়ে তিনি সুস্থ বলেই তিনি দাবি করেছেন।