কেরলের গ্রিন জোন ওয়ানাডে ট্রাক চালকের মাধ্যমে ১৯ জনের শরীরে ছড়ালো করোনা ভাইরাস
কেরলের গ্রিন জোন ওয়ানাডে ১৯টি সক্রিয় করোনা ভাইরাসের কেস পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি চেন্নাইয়ের কোয়াম্বেদু মার্কেট থেকে এক ট্রাক চালক ফিরেছেন, যাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁর সংস্পর্শে আসা প্রাথমিক ও গৌণভাবে ১৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
ওয়ানাড গ্রিন জোনের বাইরে চলে গিয়েছে
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ২ মে ওই ট্রাক চালকের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর ওয়ানাডের ওপর থেকে গ্রিন জোনের তকমা সরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী, কন্যা, জামাই ও নাতি-নাতনিও সংক্রমিত হয়। ওয়ানাদ জেলার মেডিক্যাল অফিসার আর রেণুকা বলেন, ‘২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কোয়াম্বেদু মার্কেট থেকে ওই ট্রাক চালক ফেরেন। তাঁকে বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়। ২৮ এপ্রিল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২ মে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আমরা তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলকে সনাক্ত করতে পেরেছি এবং সবাই এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁর ছেলের বিয়ে উপলক্ষ্যে বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। সেই কারণে বহু মানুষই তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন।'
ট্রাক চালক বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন
ট্রাক চালকের জামাই যিনি করোনা সংক্রমিত তাঁর ওয়েনাডে দোকান রয়েছে এবং যারা তার দোকানে এসেছিল সকলকে সনাক্ত করা গিয়েছে। ডিএমও জানিয়েছেন যে ট্রাক চালককে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল কিন্তু ২৬ এপ্রিল কেরলে পৌঁছানোর আগে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রে কড়া হয়ে গিয়েছি, বাইরে থেকে আসা ট্রাক চালকদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে।'
২ জন পুলিশ আধিকারিকের দেহে করোনা পজিটিভ
দু'জন পুলিশ আধিকারিকের দেহেও করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। দু'জনকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ডিএমও জানিয়েছেন যে করোনা কেস বাড়ার কারণ হল সনাক্তকরণের পদ্ধতি জোরালো করা হয়েছে এবং উপসর্গহীনদেরও সনাক্ত করে টেস্ট করা হচ্ছে। ডিএমও বলেন, ‘আমরা আদিবাসি কলোনিগুলিতে বিপরীত কোয়ারান্টাইন করছি। আমরা নিশ্চিত করছি যে বাইরে থেকে লোকেরা এই কলোনিতে প্রবেশ যেন না করে এবং তাঁরাও যাতে বাইরে বেড়িয়ে না আসে। আমাদের এই তিনটি কোলনিতে বসবাসকারী ৩৭৪ জনের ওপর নজর রয়েছে।'
বহিরাগতদের জন্য কেরলে বাড়ছে করোনা
ডিএমও জানান যে বাইরে থেকে আসা মানুষদের কারণে কেরলে করোনা কেস বাড়ছে কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কড়া সতর্ক করে বলা হয়েছে যে কোয়ারান্টাইনের সব নিয়ম যেন মেনে চলা হয় তবেই এই মহানারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। ১৫ মে পর্যন্ত কেরলে ৫৭৬টি করোনা ভাইরাস কেস পাওয়া গিয়েছে যার মধ্যে ৮০টি সক্রিয়। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আসা ৩১১ জন, আট জন বিদেশী এবং অন্যান্য রাজ্যের ৭০ জন, মোট ১৮৭ জনের যোগাযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।