যখন খুশি নেওয়া যাবে করোনা টিকা, টিকাকরণে সময়ের বেড়াজাল তুলে নিল কেন্দ্র
এ বছরের ১৬ই জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে চালু হয়েছে টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ের কোভিড যোদ্ধাসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ কার্যত শেষ। ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের উর্দ্ধে কোমরবিডিটি যুক্ত নাগরিকদের টিকা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। যদিও এক্ষেত্রে টিকাকরণের সময়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত করা হলেও সেই সময়ের বেড়াজাল তুলে নিল কেন্দ্র।
টিকাকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত করার ভাবনা
দেশজুড়ে টিকাকরণ চললেও নিত্যনতুন স্ট্রেনের ভয়ে চিন্তিত গবেষকরা। আর তাই টিকাকরণ দ্রুত সারার ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দিষ্ট সময়ের বদলে গ্রহীতাদের যখন খুশি টিকা নেওয়ার স্বাধীনতা দিল কেন্দ্র। করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের ২৪×৭ ঘন্টা পরিষেবা দেবে হাসপাতালগুলি, এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। নিজস্ব সুবিধামত সময়ে গেলেই টিকা পাবেন নাগরিকরা, জানাচ্ছে কেন্দ্র।
বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ছাড়পত্র
দ্রুত টিকাকরণের লক্ষ্যে যে কোমর বেঁধে এগোচ্ছে কেন্দ্র, তার প্রমাণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক নির্দেশাবলীতেই। টিকাকরণ তাড়াতাড়ি শেষ করতে সরকারি-বেসরকারি শক্তিকে একজোট করতে চাইছে কেন্দ্র, আর তাই মঙ্গলবার দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতালকেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কোভিড টিকাকরণের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি সুবিধামত সময়ে টিকাকরণের নিয়ম বলবৎ হল কো-উইন পোর্টাল ও আরোগ্য সেতু অ্যাপের ক্ষেত্রেও।
এখনও কিছু জায়গায় থাকছে জটিলতা
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ সকল রাজ্যকে প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন মজুত না করার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। ভারতের কাছে যে পর্যাপ্ত প্রতিষেধকের যোগান রয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আর তাই কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে (সিভিসি) সঠিক পরিমাণে করোনা প্রতিষেধকের ডোজ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও প্রতিষেধক সরবরাহের ক্ষেত্রে যেভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, তাতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণে একাধিক নতুন নিয়ম কার্যকর
ক্রমাগত চেষ্টার পর অবশেষে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হাতে এসেছে করোনার রাশ। আর তাই মারণব্যাধির লাগামছাড়া হওয়ার আগেই এই ব্যাধিকে নির্মূল করতে চাইছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য যোজনা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় থাকা সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে সিভিসি-তে রূপান্তর করে টিকাকরণের গতিকে ত্বরান্বিত করতে চাইছে কেন্দ্র।