করোনা রোধে তবে কি শীঘ্রই আসছে খুশির খবর ? পাটনার এইমসে শুরু হল কো-ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল
বৈঠকে অনুপস্থিততে ‘কড়া পদক্ষেপ’! বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় ধনখড়ের নির্দেশে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ উপাচার্যদের
করোনা সংক্রমণের নিরিখে এবার কার্যতই জগৎসভায় শীর্ষ স্থাম নিতে চলেছে ভারত। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত, মৃত ও সংকটজনক রোগীর তালিকায় গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। গোটা দেশই কার্যত চাতকের মত অপেক্ষা করছে ভ্যাক্সিনের আশায়। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে আশার আলো দেখাচ্ছে কো-ভ্যাক্সিন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও শুরু হয়েছে পাটনার এইমসে।
আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগ
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে প্রস্তুত হয়েছে দেশের প্রথম সম্ভাব্য করোনার ভ্যাক্সিন। প্রিক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাফল হয়ে ইতিমধ্যেই পাটনার অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্স ইনস্টিটিউটে বা এইমসে এই ভ্যাক্সিনের মানবিক ট্রায়াল শুরু হয়ে বলে জানা যাচ্ছে।
১০ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে কো-ভ্যাক্সিন
এইমস-পাটনা সূত্রে খবর, মানবদেহে ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে প্রাথমিকভাবে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে এই ভ্যাক্সিন। ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ। জানা যাচ্ছে, প্রথম ডোজটি দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় দেওয়া হবে ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ।
লিঙ্গ নির্বিশেষে ২২-৫৫ বয়সের সুস্থ ব্যক্তিদের উপরেই চলছে ট্রায়াল
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে ভ্যাক্সিনের প্রভাব অধ্যয়ন করে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে এইমস-পাটনা। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আইসিএমআর দ্বারা নির্বাচিত ১২ টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে এআইএমএস-পাটনা ছিল অন্যতম। এইমস-পাটনার গবেষক সিএম সিং জানান, লিঙ্গ নির্বিশেষে ২২-৫৫ বয়সের সুস্থ ব্যক্তিদের উপরেই চলছে কো-ভ্যাক্সিনের মানবিক ট্রায়াল।
ভ্যাক্সিন নিয়ে আশাবাদী গবেষকরা
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ডাঃ কৃষ্ণা ইলা সংবাদমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে জানান, " আশা করা যায় কোভিড-১৯ এর এই সম্ভাব্য টিকা ভাইরাস মোকাবিলায় সক্ষম হবে"। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার করোনা ভ্যাক্সিনের সমস্ত ট্রায়ালই সফল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এবার ভারতের কো-ভ্যাক্সিন করোনা মোকাবিলায় কতটা সহায়ক হয়ে উঠতে পারে সেটাই দেখার। এদিকে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি মানুষ।
দেশে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের মধ্যেও সুস্থতার হার বৃদ্ধি দেশবাসীর মনে নতুন আশা জাগাবে