আশঙ্কা বাড়ল দেশবাসীর, করোনা ভ্যাকসিন ভারতে আগামী মার্চের আগে নয়
আশঙ্কা বাড়ল দেশবাসীর, করোনা ভ্যাকসিন ভারতে আগামী মার্চের আগে নয়
ভারতে কমপক্ষে তিনটে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে এবং এই ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল আগামী বছরের জানুয়ারিতে হাতে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন এই ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে এখনও ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে ভ্যাকসিন দেরিতে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
হর্ষ বর্ধনের আশা
সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন হাতে পাবে ভারত। বর্ধন সেই সময় বলেছিলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা তরান্বিত করা হচ্ছে। কমপক্ষে তিনটে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ভারতে। আমরা আশাবাদী যে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে দেশে ভ্যাকসিন উপলব্ধ হবে।'
কোন ভ্যাকসিনের ভারতে কোন পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে
আইসিএমআর ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইফ ভায়রোলজি ও ভারত বায়েটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের মানবদেহে ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বলে জানা গিয়েছে আইসিএমআরের ওয়েব পোর্টাল থেকে। আরও একটি ভ্যাকসিন প্রার্থী কোভিশিল্ড, যার সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) ও আইসিএমআর, তারও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। অন্যদিকে ৮ অক্টোবর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের ডোজ প্রথম ব্যাচের ১০০ জন অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন বিকাশ সম্পর্কে অবগত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ২৮দিন পর স্বেচ্ছাসেবীদের ফের ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে।
গত বছরের জানুয়ারি ভ্যাকসিনের প্রথম ফল জানা যাবে
প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে যে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে ১৬০০ হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভ্যাকসিনের প্রথম ফলাফল জানা যাবে। জাইডাস ক্যাডিলা, যারা তৃতীয় ভ্যাকসিন প্রার্থী, তারাও প্রথম পর্যায়ের মান শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে। বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গিয়েছে যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রার্থী ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল হতে একটু সময় লাগবে।
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হবে ফেব্রুয়ারি–মার্চে
এই ট্রায়ালগুলির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের মতে, ভ্যাকসিনগুলির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ হতে পারে। বিরাট জনসংখ্যা ভিত্তিক ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়াল দু'ধরনের মানুষের ওপর করা হচ্ছে। প্রথম দলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় দলকে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়নি, এবার দেখা হবে কোন দলের স্বেচ্ছাসেবীরা সুস্থ থাকেন। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে দেওয়া ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ফলাফল নয়, বরং এটা দেখা যে আদৌও ভ্যাকসিন ভাইরাসের প্রভাব শরীরে কম করছে কিনা।
করোনা ভ্যাকসিন বন্টন পরিকল্পনা
করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে গেলে কীভাবে তা প্রতিটি রাজ্যে বণ্টন করা হবে সেব্যাপারে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার ভ্যাকসিন বেরোলে তা সংগ্রহ থেকে শুরু করে রাজ্যে-রাজ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্র।
করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত রাখল জনসন অ্যান্ড জনসন! নেপথ্যে কোন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি