দিল্লিতে শ্মশানে ফুরিয়েছে কাঠ, পার্কিং লটেও অন্ত্যেষ্টির বন্দোবস্ত! উদ্বেগে রাজধানী
মৃতদেহ সৎকারের জায়গা পর্যন্ত নেই! এমনই চেহারা রাজধানী দিল্লির। যে ছবি স্বপ্নে ভাবতেও গায়ে কাঁটা দেয়, তা আজ বাস্তবে। রাস্তায় লোক নেই। মন্দির, মসজিদ, গির্জাও সেভাবে ভর্তি নয়। জনসমাগম শুধুই হাসপাতালের পর হাসপাতালে। আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসা একের পর এক দেহ সৎকারে হয়রানি, জটিলতা সাধারণ মানুষের। এমনই দাবি করছে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট।
উন্নয়নের হাত ধরে দেশে নতুন হাসপাতাল বা শিল্প কারখানা তৈরির কথা ভাবা যায়, তা হতেও দেখা গিয়েছে। তবে স্বপ্নেও বোধ হয় ভাবা যায়নি, যে করোনার জেরে শ্মশানের জন্য জমি বাড়াতে হবে নাগাড়ে! এই পরিস্থিতি দিল্লির। সেখানের সারাই কালে খান কবরস্থানের সংলগ্ন এলাকার সুবজ ঘেরা জায়গায় আরও ৫০ টি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য। বারবার কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জায়গা বাড়ানোর।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ছাড় পাচ্ছে না পার্কিং লটগুলি। গাজিপুরে এমনই পার্কিং লটে অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়ায়র বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যে হারে করোনার জেরে দিল্লিতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে। শুধু কবরস্থান নয়, একই পরিস্থিতি শ্মশানেই। সেখানেও চিতার আগুন নিভছে না। আরও চিতা রাখার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে।
Bodies are being lined up in crematoriums. #india #CovidIndia
— Suchitra Vijayan (@suchitrav) April 26, 2021
Shubhashnagar Crematorium
pic.twitter.com/UEtBJhArTA
২০ হাজারের ওপর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিল্লির নিত্যদিনের ঘটনা এখন। এই পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ র আশপাশে প্রায় প্রতিদিনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সাধারণত দিল্লিতে যে সংখ্যক মৃতের সৎকার সাধারণত হয়ে থাকে,তার থেকে বহুগুণ বেশি রোগীর মৃতদেহ রোজ আসছে শশ্মান কিংবা কবরস্থানে। গত ১০ দিনে এমনই ঘটনার সাক্ষী দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে মৃতদেহ দাহ করার কাঠ ফুরিয়ে গিয়েছে বহু শ্মশানে। কাঠের অভাবে কেয়ারটেকারকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে শ্মশানের দরজা। এমন করুণ পরিস্থিতিও দেখছে দিল্লি।