করোনা আক্রান্ত ভারতে কি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' শুরু! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
করোনা আক্রান্ত ভারতে কি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' শুরু! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
ভারতে ধীরে ধীরে বিষ দংশন বাড়াতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস! এমনই আশঙ্কা আজ উঠে এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য ঘিরে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি নথি অনুযায়ী ভারতে নিয়ন্ত্রিত হারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তের প্রেক্ষিতেই একাধিক তথ্য উঠে আসছে।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘিরে আশঙ্কা!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের 'স্ট্যান্ডার্ড অপরেটিং প্রসিডিউর' বলছে, সাম্প্রতিক কালে করোনায় ভারতের পরিস্থিতি নিয়েই এই নথি বক্তব্য রাখছে। আর তাতেই সন্দেহ প্রকাশ করে উল্লেখিত হয়েছে 'নিয়ন্ত্রিত' কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কথা। যার জেরে সন্দেহভাজনদের আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হয়েছে।
করোনা হানার কতগুলি পর্যায় রয়েছে?
করোনা একটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার মোট ৪টি পর্যায় রয়েছে। তারমধ্যে প্রথম পর্যায়টি হল বিদেশ থেকে আগতদের দেহে করোনা আক্রমণ। তারপর করোনার স্থানীয় বা লোকাল ট্রান্সমিশন। আর তৃতীয় স্তরটি হল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। যা একটি গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ছাপিয়ে গেলে শুরু হয় মহামারীর প্রবল সংকটের পর্যায়।
সরকারিভাবে কোন তথ্য?
যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বলছে, ভারত আপাতত করোনার স্টেজ ২ তে রয়েছে। অর্থাৎ ভারত যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে বিদেশ থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আসা মানুষদের থেকে স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। যা গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে ভারতে।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণ কী?
যখন দেখা যায় যে, একজন ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ কোথা থেকে এসেছে সেই 'সূত্র'টি জানা যাচ্ছে না। তখনই তা প্রমাণ করে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের। যা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আর এর হাত খেকেই বাঁচতেই লকডাউনের ঘোষণা করেছে বহু দেশ। তেমন ভাবেই ২১ দিনের লকডাউনে রয়েছে ভারত।