করোনা দংশন: খাদ্যদ্রব্যের মূল্য়ে আগুন! নেপথ্যে কোন কোন কারণ
করোনার জেরে গোটা দেশে ২১ দিনের লকডাউন রয়েছে। তবে এরইমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস অবিলম্বে বাড়ি পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে প্যানিকবাইং বাজারকে বেশ আতঙ্কে রেখেছে। যার জেরে অনেকেই লকডাউন ঘোষণার প্রথমের দিকে বহু জিনিস কিনে ঘরে তুলে রেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ২১ দিনে ঘোষিত লকডাউনের শেষ পর্যায়ে এসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারে আগুন! কোন কোন কারণ উঠে আসছে দেখে নেওয়া যাক।
লকডাউনে দাম বেড়েছে ৩ গুণ!
এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর বলছে, লকডাউনের জেরে ৩ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। আর এর নেপথ্যে শুধু একা লকডাউন দায়ী নয়। রিপোর্ট বলছে, একাধিক ফ্যাক্টর একসঙ্গে মিলিত হয়েই পরিস্থিতিকে আরও বেশি খারাপের দিকে নিয়ে গিয়েছে।
মন্দার মধ্যে আরও খারাপ পরিস্থিতি!
রিপোর্ট বলছে, গত একমাস ধরে পাইকারি বাজারে ৬০ শতংশ যোগান কমছিল। ফলে দাম উর্ধ্বমুখী এমনিতেই ছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে মার্চের মধ্যভাগ থেকেই জারি হওয়া লকডাউন। বহু রাজ্যই নিজের সীমান্ত সিল করেছে। ফলে বহু রাস্তায় অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাক। যার জেরে নষ্ট হয়েছে বহু মূল্য খাবার। ফলে স্বভাবতই যোগান কমতে শুরু করেছে।
আরও যেসমস্ত কারণ সামনে আসছে..
সোশ্যাল ডিসটেন্সিং ও ২১ দিনের লকডাউনের খবর শ্রমিকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অনেকই কাজের জায়গা ছেড়ে ঘরমুখী হয়েছেন। ফলে শ্রমিকদের কমতি উপলব্ধি করছে বাজার। অন্যদিকে, ট্রাক ড্রাইভাররাও কাজে নামতে চাইছেন না। ফলে সরবরাহের স্বাভাবিক গতি নষ্ট হয়েছে। আর তার জেরে বাজারে এসে পৌঁছচ্ছেনা খাবার।
আন্তর্জাতিক স্তরে কোন রিপোর্ট
রাষ্ট্রসংঘের দাবি, বহু উন্নয়নশীল দেশেই ১০ শতাংশ বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। যা গৃহস্থের খরচ এমনিতেই বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে লকডাউন ও করোনার আবহে যোগানের কমতি ব্যাপক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
কৃষকদের ঘিরে সমস্যা
বহু ক্ষেত্রেই সমস্যা দানা বেঁধেছে কৃষকদের ঘিরে। চাষিরা ফসল নিয়ে সরাসরি বাজারে আসতে না পারায় জিনিসের দাম বেড়েছে। বেড়েছে যোগানের পরিমাণও। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটের দিকে রয়েছে।