করোনা শুধুই সাবধানবাণী মাত্র, আগামীতে অপেক্ষা করছে আরও বড়সড় বিপর্যয়! হু-র বার্তায় তীব্র চাঞ্চল্য
ইতিমধ্যেই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা মহামারী। আর এই একবছরে প্রায় প্রত্যহই কোভিড বিষয়ক নিত্যনতুন তথ্য সামনে এনেছেন করোনাবিদরা। ইতিমধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়ে ফাইজার প্রধান উগার সাহিনকে বলতে শোনা গিয়েছে আরও প্রায় এক দশক এই মারণ করোনার সঙ্গে যুঝতে হবে গোটা মানবজাতিকেই। পাশাপাশি হু-এর অতিরিক্ত পরিচালন অধিকর্তা মাইকেল রায়ানের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও একইভাবে ছড়াল চাঞ্চল্য। বিশ্বের প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার 'কৃতিত্ব' যার নামে, সেই কোভিড যে শুধুই ধ্বংসযজ্ঞের শুরুর ইঙ্গিত, তাই এদিন ফের স্পষ্ট হল রায়ানের বক্তব্যে।
করোনা শুধুই সাবধানবাণী মাত্র!
হু-এর বক্তব্য অনুযায়ী, জরুরি স্বাস্থ্যভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে বিশ্বের কোভিড আক্রান্তদের সেবা-শুশ্রূষা ও যাবতীয় করোনা গবেষণা চলছে। করোনা শুধুমাত্রই একটি সাবধানবাণী, আগামী ছড়াতে পারে আরও ভয়াবহ সব সংক্রামক ব্যাধি। হু-এর এই করোনা দলের প্রধান হিসেবে মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন এমনটাই। আর তাঁর এই বক্তব্যের পরেই স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনসাধারণের মনে।
করোনা খুব একটা 'বড়' কিছু নয়!
এদিকে হু-এর এমন বক্তব্যে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবল হীনমন্যতায় ভুগছেন নাগরিকদের একাংশ। এমতাবস্থার মাঝেই রায়ান জানান, "করোনা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বিশ্বের প্রত্যেক কোণায় পৌঁছে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ঘটিয়েছে। কিন্তু ব্যাপার এই যে, করোনাই শেষ নয়।" ফলত আগামীদিনে মহামারীর রূপ কেমন আকার নেবে, তা ভেবেই শিহরিত হচ্ছেন গবেষকরা।
করোনার থাবায় থমকে গোটা বিশ্ব
হু-এর হিসাব বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ কোটির কাছাকাছি। গবেষকদের মতে, প্লেগ মহামারীর মত বিপর্যয় না ডাকলেও ভাইরাসের লাগাতার অভিযোজনের কারণে মাথাব্যথা বাড়ছে। যদিও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক একাধিক সংস্থার দাবি, বিবর্তনে ফলে স্পাইক প্রোটিন শক্তিশালী করছে ভাইরাস, তা সত্ত্বেও সমান কার্যকর হবে ভ্যাকসিন। এখন একমাত্র চিন্তা ভ্যাকসিনের সমবণ্টন নিয়ে, মতামত রাজনীতিবিদদের।
আগের মত প্রাণঘাতী নয় করোনা
করোনা ভাইরাসের অভিযোজন হলেও আগের মত প্রাণঘাতী নয় কোভিড, মহামারীর বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই জানালেন মাইক। তাঁর বক্তব্য, "বিশ্বে যেভাবে করোনা তার প্রসার ঘটিয়েছে, তাতে তা সত্যিই চিন্তার কারণ। তবে বর্তমানে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা যেভাবে হারাচ্ছে করোনা, তাতে আমাদের সন্দেহ যে এবারের মহামারী হিমশৈলের চূড়ামাত্র।