সংক্রমণ রুখে স্বস্তির নিঃশ্বাস দিল্লিতে! করোনা আতঙ্ক কমতেই মুম্বইতে উঠে গেল নাইট কার্ফু
ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসতে চলেছে রাজধানী দিল্লির করোনা ভাইরাস। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া গত কয়েকদিনের যে বুলেটিন সামনে আসছে তা দেখে কার্যত স্বস্তির বার্তা ফেলছেন চিকিৎসকদের। আজ মঙ্গলবারও কার্যত স্বস্তির ছবিই উঠে
ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসতে চলেছে রাজধানী দিল্লির করোনা ভাইরাস। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া গত কয়েকদিনের যে বুলেটিন সামনে আসছে তা দেখে কার্যত স্বস্তির বার্তা ফেলছেন চিকিৎসকদের। আজ মঙ্গলবারও কার্যত স্বস্তির ছবিই উঠে আসছে।
গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ২৬৮৩ জন মাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেক বেশি। তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় ৪৮৩৭ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, কার্যত স্বস্তি দিচ্ছে মৃতের সংখ্যাও।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় সে রাজ্যে ২৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে দিল্লিতে অ্যাক্টিভ কেস ১৬ হাজার ৫৪৮ জন। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, খুব শিঘ্রই এই বিষয়টিই আয়ত্তে চলে আসবে। এই মুহূর্তে সে রাজ্যে পজিটিভিটি রেটও ধীরে ধীরে আয়ত্তের মধ্যে চলে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজধানী দিল্লিতে ৫.৯ শতাংশ রয়েছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করে তুলতে দ্রুত ভ্যাকসিনেশন দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাচ্ছা, করোনা যোদ্ধা এবং বয়স্কদের দ্রুত বুস্টার ডোজ দেওয়ারও কাজ চলছে বলেও জানানো হয়েছে কেজরিওয়াল সরকারের তরফে।
অন্যদিকে কার্যত একই ছবি মুম্বইতেও। সেখানেও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। তথ্য অনুযায়ী সোমবার শুধু মুম্বইয়ে এক হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার সেই সংক্রমণের সংখ্যাটা আরও কম।
তথ্য অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার মুম্বইতে মাত্র ৮০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যেভাবে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে সেদিকে তাকিয়ে স্বস্তির বার্তা ফেলছেন মুম্বইয়ের প্রশাসন। আর সেদিকে তাকিয়ে এবার ধীরে ধীরে হালকা করা হচ্ছে করোনা গাইডলাইন। আজ মঙ্গলবার থেকে নাইট কার্ফু (Night Curfew) তুলে দেওয়া হল।
বিএমসি আজ মঙ্গলবার নয়া গাইডলাইন (New Guidelines and Rules) প্রকাশ করেছে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী মুম্বইয়ের সমস্ত পর্যটনস্থল খুলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ৫০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে রেস্টুরেন্ট, নাটকঘর এবং থিয়েটর খুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নয়া গাইডলাইনে।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক বাজারও পুরানো দিনের মতো খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগেই করোনা থার্ড ওয়েভ অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়েছিল। একই সঙ্গে বাড়ছিল ওমিক্রনও। আর সেখানে দাঁড়িয়ে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে এই রাজ্য।