
বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্ত চিমান প্যারোলে থাকাকালীন শ্লীলতাহানির ঘটনায় আটক হন! ফাঁস তথ্য
বিলকিস বানো মামলাতে গুজরাট সরকার মুক্তি দিয়েছে চিমান লাল ভাট নামে এক ব্যক্তিকে! ২০২০ সালের একটি শ্লীলতাহানীর একটি মামলার চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা জমা দিয়েছে গুজরাট সরকার তাতেই দেখা গিয়েছে ২০২০ সালের ১৯ জুন ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে আটক করেছিল রাধিকাপুর পুলিশ।

রিপোর্টে জানা যায়, বিলকিস মামলাতে গত ২৫ মে পর্যন্ত ৯৫৪ দিন প্যারোলে কাটিয়েছেন সীমান লাল ভাট। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ার পরেও ২৮১ দিন জেলের বাইরে কাটিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।অন্যদিকে প্যারোলে থাকাকালীন শ্লীলতাহানির মামলাতে আটক করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে।
অর্থাৎ বিলকিস বানোর মতো হেভিওয়েট কেসে যখন জেল খাটছে সীমান সেই সময়েও শ্লীলতাহানির মতো জকঘ্ন্য অপরাধ করে সে।
সীমান লাল ভাটকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল সেই প্রসসঙ্গে পুলিশ সুপার বলরাম মিনা জেলা শাসককে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও থানাতেই কোনও এফআইআর পাওয়া যায়নি। দাহদ জেলাতে সব পুলিশ স্টেশন থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল বলেও জানান পুলিশ সুপার। গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির মুক্তি সম্পূর্ণ ভাবে আইন মেনেই হয়েছে।
সুভাষিণী আলি সহ উইমেন রাইট অ্যাক্টিভিস্ট ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন। সেখানে বিলকিস বানো মামলাতে ১১ জন দোষীকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট সরকারও স্পষ্ট বার্তাতে জানায়, জেলে থাকা অবস্থায় সমস্ত দোষীদের ব্যবহার ভালো ছিল।
শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সালের একটি পুরানো নীতিকে মাথায় রেখে ১৩ মে এই সমস্ত লোকেদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলে। এই নীতিতে সষ্ট ভাবে বলা হয়েছে ১৪ বছর জেলে থাকার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে বলেও জানাচ্ছে গুজরাট সরকার। আর ইয়া মেনেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়।
এমনকি জেলে থাকাকালীন সমস্ত অভিযুক্তের ব্যবহার ভালো ছিল বলেও জানানো হয় সরকারের দেওয়া হলফনামাতে। তবে আজাদি কি মহতসবকে মাথায় রেখে এই সমস্ত দোষীদের ছাড়া হয়েছে তা আসলে মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করা হয়েছে সরকারের তরফে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মাথায় রেখে এবং সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মেনে বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের ছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে গুজরাট সরকার।