সুভাষবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস কী করেছে সবাই জানে! খাড়গের 'কুকুর' মন্তব্যের আঁচ সংসদে
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হল সংসদ। এহেন মন্তব্যে কংগ্রেস সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি। যদিও খার্গের দাবি, তাঁর মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠে না। এমনকি তাঁর মন্তব্যে
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হল সংসদ। এহেন মন্তব্যে কংগ্রেস সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি। যদিও খাড়গের দাবি, তাঁর মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠে না। এমনকি তাঁর মন্তব্যে তিনি স্থির বলেও জানান বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা।
শুধু তাই নয়, যা বলছেন তা সদনের বাইরে বলেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। আর খাড়গের এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাপ ছড়াল শীতকালীন অধিবেশনে।
গত কয়েকদিন আগে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের স্বাধীনতার আন্দোলনে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। আর তা রাখতে গিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করে বসেন কংগ্রেস নেতা। আর তা নিয়েই যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত। আর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদেই সংসদে ঝড়। কেন কংগ্রেস নেতা তাঁর মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাইবেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদরা। আর এহেন ঘটনার কারনেই আজ মঙ্গলবার দফায় দফায় মূলতুবি পর্যন্ত হয়ে যায় সংসদ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীয়ুষ গোয়েল বলেন, কংগ্রেস সাংসদ যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা অভদ্র। এই বিষয়ে অবশ্যই তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মত কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। উল্লেখ্য, সোমবার আলওয়ারের মালাখেদায় এক জনসভায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ভূমিকা রয়েছে কংগ্রেসের।
এমনকি দেশের অখন্ডতা এবং একতা ররাখতে ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীদের প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। আর এরপরেই বিজেপিকে আক্রমণ করে খার্গে বলেন, আমাদের নেতারা প্রাণ দিয়েছে। কিন্ত্য আপনারা কি করেছেন? দেশের জন্যে জন্যে আপনাদের ঘরের কোনও কুকুর পর্যন্ত মরেনি। কেউ কেন শহিদ হননি? প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সভাপতি।
আর এরপরেই এহেন মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, আলওয়ারে কংগ্রেস সভাপতি যে ভাষার ব্যবহার করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানাই। এমনকি এই কংগ্রেস আসল নয় বলে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর গান্ধীজি নিজেই বলেছিলেন কংগ্রেসকে বিলুপ্ত করতে হবে। এটি ইটালিয়ন কংগ্রেস বলেও আক্রমণ কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর।
তাঁর মতে, সুভাষ চন্দ্র বসু ও তিলকের মতো নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস কেমন আচরণ করেছে তা সকলেই জানেন। ফলে এই বিষয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মত বিজেপি নেতার। আর এই ইস্যুতেই দফায় দফায় উত্তাল শীতকালীন অধিবেশন।