কৃষি বিল বিরোধিতার আন্দোলনে তাঁর অবদান, সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন আত্মঘাতী ৭০ বছরের কৃষক
কৃষি বিল বিরোধিতার আন্দোলনে তাঁর অবদান, সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন আত্মঘাতী ৭০ বছরের কৃষক
কেন্দ্র সরকার যেমন অনড়, তেমনি নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়তে রাজি নন সরকারের কৃষি বিলের বিরোধিতায় আন্দোলনরত কৃষকরা। যার ফলস্বরূপ আত্মঘাতী হলেন এক ৭০ বছরের কৃষক। শনিবার সকালে দিল্লি–উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া গাজিপুর প্রতিবাদের জায়গায় উত্তপ্রদেশের রামপুর জেলার ওই কৃষক আত্মহত্যা করেন। তিনি তাঁরসুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, 'কৃষক বিলের বিরোধিতা’য় তাঁর এই পদক্ষেপ।
গাজিয়াবাদ
পুলিশের
মতে,
রামপুরের
পাশিয়াপুর
গ্রামের
কাশ্মীর
সিং
দাসকে
গাজিপুরের
শৌচালয়ে
ছাদ
থেকে
ঝুলন্ত
অবস্থায়
উদ্ধার
করা
হয়।
এখানেই
গত
২৮
নভেম্বর
থেকে
কৃষকরা
আন্দোলন
করছেন।
গাজিয়াবাদের
এসপি
জ্ঞানেন্দ্র
কুমার
বলেন,
'আমাদের
কাছে
খবর
আসে
যে
প্রতিবাদের
জায়গায়
এক
কৃষক
আত্মহত্যা
করেছেন।
হাসপাতালে
নিয়ে
যাওয়ার
পথেই
তাঁর
মৃত্যু
হয়।’
সুইসাইড
নোটে
তিনি
লিখে
গিয়েছেন
যে
আন্দোলনে
অবদান
দেওয়ার
জন্যই
তাঁর
এই
মৃত্যু।
সুইসাইড
নোটে
লেখা
রয়েছে,
'আমি
দিল্লিতে
এসেছিলাম
তিনটে
কৃষি
বিলের
জন্য।
কৃষকদের
সমর্থন
করার
জন্য
নয়।
ভারতের সব কৃষকদের জন্য এটা সুবিধাজনক বিল নয়। কৃষকরা চান সরকার এই বিল প্রত্যাহার করে নিক। সরকার তা করছে না। এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া পাঞ্জাবের ৫০ জন জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড থেকে কোনও কৃষক নিজের প্রাণ দেননি। তাই আমি এই কৃষি বিলের কারণে নিজের জীবন আত্মত্যাগ করছি।’ এই নোট গুরমুখি ভাষায় লেখা হয়েছে।
চিঠিতে ওই কৃষক নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, 'আমি সুখ সাগর সাহিব গুরুদ্বারে ২৪ ঘণ্টার সেবাদারের কাজ করি।’ সিংয়ের ছেলে লখবীর সিং লারি জানিয়েছেন যে কাশ্মীর সিংয়ের দেহ শেষকৃত্যের জন্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, '২০–২৫ দিন ধরে আমার বাবা গাজিপুরে রয়েছেন। কেউ বুঝতেও পারেননি যে তিনি এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করবেন। আমাদের তিনি কিছু জানাননি। আমাদেরকে ডেকে এক কৃষক সকালে এই ঘটনার কথা জানান।’ সিংয়ের তিনটে ছেলে ও মেয়ে রয়েছেন এবং পাঁচজন নাতি আছেন। দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
৩ জানুয়ারি করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যায় আরও পতন! পরিসংখ্যান একনজরে