ক্ষুধা সূচকের পর আরও এক বড় ধাক্কা! প্রোটিনের অভাবে ভুগছে ভারতের শিশুরা, রিপোর্ট ইউনিসেফের
ক্ষুধার সূচকে ভারত রয়েছে পাকিস্তানেরও পরে। এমনই মোদীর শাসন। এখানেই শেষ হয়নি। আরও আছে। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে ভারতের শিশুরা প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। প্রতি সেকেন্ডে তাঁরা অপুষ্টিতে ভুগছে।
ক্ষুধার সূচকে ভারত রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তানেরও পরে। এমনই অবস্থা নরেন্দ্র মোদীর শাসনে। এখানেই শেষ হয়নি। আরও আছে। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে ভারতের শিশুরা প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। প্রতি সেকেন্ডে তাঁরা অপুষ্টিতে ভুগছে। ২০১৯ সালের ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত দু'দশক ধরে ভারতীয় শিশুদের প্রোটিনের অভাবে থাকার প্রবণতা একই রয়ে গিয়েছে।
প্রোটিন সংকট বাড়ছে ভারতীয় শিশুদের
ভারতীয় শিশুদের মধ্যে প্রটিেনর অভাব প্রকট। ইউনিসেফের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনা। তার মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছরের শিশুরা বেশি এই সংকটে ভুগছে। যার অন্যতম কারণ খাদ্যভ্যাস। ভারতের শিশুদের খাদ্যা তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন নেই বললেই চলে। যার কারণে তাঁরে মানসিক এবং শারিরীক বিকাশেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
অপুষ্টির স্বীকার ভারতের শিশুরা
ভারতীয় সমাজে সাধারণ মানুষের আয় বাড়লেই শিশুদের খাদ্যতালিকায় খুব বেশি যে ফারাক হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইউনিসেফের এই তালিকায়। দুগ্ধ জাতীয় খাবারের দিকে নজর থাকলেও মাছ-মাংস-ডিম খাওয়ানোতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অভিভাবকরা। সেকারণেই তাঁদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। ভারতের ছত্রে ছত্রে রয়েছে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু। দেশের আশি শতাংশ শিশু (৬- ২৩মাস) পর্যাপ্ত সুষম আহার পায় না। অথচ ভারতীয়রা রোজগারের অর্ধেক টাকাই খাবারের পিছনে খরচ করে থাকে।
সামাজিক পরিকাঠামোর কারণেই এই অবস্থা
ভারতীয় শিশুদের অপুষ্টির অন্যতম কারণ সামাজিক পরিকাঠামো বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতে মায়েরাও পর্যাপ্ত পুষ্টি পান না। সেকারণেউ গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের বিকাশে ঘাটতি থেকে যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজনের শরীর ভিটামিন-এ র অভাব রয়েছে। ভারতের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী এবং শিশু রক্তাল্পতায় ভোেগন।
এটাই মোদীর সবকা বিকাশের ভারত বলাই যেতে পারে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, যুবাদের বিকাশের কথা বললেও শিশুদের পুষ্টি যে এখনও উপেক্ষিতই রয়ে গিয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইউনিসেফের এই রিপোর্টে।