বিরোধী কণ্ঠ দমাতে গিয়ে কোণঠাসা সাংবিধানিক অধিকার, ইউএপিএ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দিল্লি হাইকোর্টের
বিরোধী কণ্ঠ দমাতে গিয়ে কোণঠাসা সাংবিধানিক অধিকার, ইউএপিএ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দিল্লি হাইকোর্টের
প্রায়
১
বছর
টানাপোড়েন
শেষে
অবশেষে
দিল্লি
হাইকোর্ট
থেকেই
জামিন
পেয়েছেন
ইউএপিএ-র
জালা
আটকা
পড়েন
ছাত্র
সংগঠনের
কর্মী
দেবাঙ্গনা
কলিতা,নাতাশা
নারওয়াল
ও
আসিফ
ইকবাল
তানহা।
তাদের
বিরুদ্ধে
গত
বছর
দিল্লি
হিংসায়
প্রত্যক্ষ
মদত
দেওয়ার
অভিযোগ
এনেছিল
দিল্লি
পুলিশ।
এদিকে
তাদের
জামিন
মঞ্জুর
করতে
দিয়ে
তিন
অভিযুক্তের
বিরুদ্ধে
লাগা
রাষ্ট্রদ্রোহিতার
অভিযোগ
নিয়ে
ক্ষোভ
প্রকাশ
করল
দিল্লি
হাইকোর্টের
বিচারক
সিদ্ধার্থ
মৃদুল
এবং
অনুপ
জয়রাম
ভাম্ভানির
বেঞ্চ।
দিল্লি হাইকোর্টের স্পষ্ট দাবি প্রতিবাদের অধিকার আর জঙ্গি কার্যকলাপের ফারাক বুঝতে হবে। সকলেই প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু এর সঙ্গে সন্ত্রাসের ফারাক বুঝতে হবে আমাদের। কোনও আন্দোলনে সামিল হলেই তা সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম হয়ে যায় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর মোদী জমানার শুরু থেকেই এক ধাক্কায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার সংখ্যা গোটা দেশজুড়েই উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে।
এমনকী বিনা অপরাধা অনেক খ্যাতানামা ব্যক্তিকে যার জেরে আজও জেল খাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে ইউএপিএ নিয়ে এর আগেও দেশজুড়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। ইউএপিএ প্রয়োগের অধিকারের ক্ষেত্রে পুলিশের অধিকার নিয়েও বিভিন্ন পরিসরে ওঠে প্রশ্ন। এমতাবস্থায় সেই ইউএপিএ নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের তিরস্কারের পর শুরু হয়েছে নতুন করে চাপানৌতর।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারকদের দাবি এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের গণতন্ত্রের জন্য খুবই দুঃখের দিন আসতে চলেছে। বিরোধী কণ্ঠ ঠেকাতে গিয়ে সাংবিধানিক অধিকার আজ কোণঠাসা হচ্ছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে প্রতিবাদের বিভেদ মুছে যাচ্ছে। যা রীতিমতো উদ্বেগডনক বলে মত দিল্লির শীর্ষ আদালতের। বর্তমানে তিন অভিযুক্তকেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে আদালত।