কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ! ১৯ জয়ে চিদম্বরমের ফর্মুলা
২০১৯-এর নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে জোট জোরদার করার জন্য সওয়াল করা হল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে। রবিবার এই সওয়াল করেন পি চিদাম্বরম। তাঁকে সমর্থন করেন সচিন পাইলট, রমেশ চেন্নিথানার মতো নেতারা।
২০১৯-এর নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে জোট জোরদার করার জন্য সওয়াল করা হল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে। রবিবার এই সওয়াল করেন পি চিদাম্বরম। তাঁকে সমর্থন করেন সচিন পাইলট, রমেশ চেন্নিথানার মতো নেতারা।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য
নিজের বক্তব্যে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, এই মুহূর্তে সব থেকে বড় কাজ হল দলের ভোট ভিত্তি বাড়ানো। প্রত্যেক কেন্দ্রে তাদের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে, মানুষ কেন কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছে না। তাদের কাছে পৌঁছে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী।
জোট-সওয়াল পি চিদাম্বরমের
বৈঠকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে কংগ্রেসের উচিত যত বেশি সম্ভব সহযোগী দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। চিদাম্বরমের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিদাম্বরম বলেছেন, ১২ রাজ্যে ১৫০টি আসনে নিজের ক্ষমতায় কংগ্রেস লড়াইয়ে সক্ষম। বাকি রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে এই সংখ্যাটা যতবেশি সম্ভব বাড়াতে হবে। বাকি রাজ্যগুলিতে জোট করলে আরও ১৫০ আসন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চিদাম্বরম। তবে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা ত্যাগ করেই এই জোট গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নতুন ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম বৈঠক
রবিবার নব গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলের স্ট্যাটেজি ঠিক করতেই এই বৈঠক।
রবিবারের সিডব্লুসির বৈঠকে হাজির ছিলেন ২৩ স্থায়ী সদস্য এবং ১০ আমন্ত্রিত সদস্য। বেশ কয়েকজন সদস্য দলের বুথ পর্যায়ের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অনুপস্থিত আমন্ত্রিত দুই সদস্য
এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেও হাজির হননি কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী এবং দিগ্বিজয় সিং। নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সময় এই দুই নেতাকে বাদ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেছিলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী। নতুন ওয়ার্কিং কমিটিকে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সংযোগকারী সেতু বলেও বর্ণনা করেছিলেন তিনি।