ভারত জোড়ো যাত্রার মাত্র ৫০০ টাকা অনুদান, কেরলে সবজি বিক্রেতার দোকান ভাঙল কংগ্রেস কর্মীরা
ভারত জোড়ো যাত্রার মাত্র ৫০০ টাকা অনুদান, কেরলে সবজি বিক্রেতার দোকান ভাঙল কংগ্রেস কর্মীরা
কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা' উপলক্ষে কেরলের কোল্লামে এক সবজি বিক্রেতা দুই হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করে। ঘটনার জেরে ওই সবজি বিক্রেতার দোকান কংগ্রেসের কর্মীরা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্র সবজি বিক্রেতার দোকান ভাঙার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ঘটনার জেরে বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেস। এক বিবৃতি প্রকাশ করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত তিন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সবজি বিক্রেতার অভিযোগ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সবজি বিক্রেতা এস ফাওয়াজ বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রা তহবিল সংগ্রহের নামে, কিছু কংগ্রেস কর্মী আমাকে এবং আমার লোকেদের ওপর হামলা করে। কংগ্রেসের কর্মীরা আমার কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু আমি তাঁদের ৫০০ টাকা দিতে পারব বলে জানাই। আমার কথা শুনে কংগ্রেস কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা আমার সবজি ফেলে দেন। আমার দোকান ভাঙচুর করেন। আমার দোকানে কয়েকজন ক্রেতা তখন ছিলেন। কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের অপমান করেন। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস কর্মীরা আমাকে ফেরে ফেলার হুমকি দেন। দোকানের কর্মীদের ওপরও তাঁরা হামলা করেন।' ফাওয়াজ দাবি করেছেন, কংগ্রেসের পাঁচ জন কর্মী তাঁর দোকান ভাঙচুর করেন। তারমধ্যে কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এইচ অনিশ খান ছিলেন।
অভিযুক্তদের বরখাস্ত
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে কেরল কংগ্রেস। এক বিবৃতিতে কেরল কংগ্রেসের ভাপতি কে সুধাকরণ বলেছেন, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন দলীয় কর্মীকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা আমাদের মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং এই ধরনের আচরণ অমার্জনীয়। পার্টি স্বেচ্ছায় ছোট অনুদান ক্রাউডফান্ড করছে, অন্যরা যারা কর্পোরেট অনুদান পায় তাদের থেকে আমাদের অনুদান গ্রহণের পদ্ধতি ভিন্ন।'
জয়রাম রমেশের বক্তব্য
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ, ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার বিরোধিতা করে দল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, কেরল কংগ্রেস বছরের পর বছর ধরে ক্রাউড ফান্ডিং করছে। ছোট ছোট অনুদানের ওপর ভিত্তি করে কংগ্রেস দলটি চলে। এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়।
ভারত জোড়ো যাত্রা
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই কংগ্রেস এই 'ভারত জোড়ো যাত্রা' গ্রহণ করেছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মসূচির সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। দেশকে এক সূত্রে গাঁথতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৫০ দিনের এই কর্মসূচিতে ৩৫৭০ কিলোমিটার অতিক্রম করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রায় রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাত্রাপথে তাঁরা কোনও হোটেলে থাকবেন না। তাঁদের জন্য ৬০টি কন্টেনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এসি, শৌচালয় সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে। কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত এই যাত্রা পথ নির্ধারিত করা হয়েছে। প্রতিদিন কংগ্রেস নেতাদের ২২ থেকে ২৩ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
manufacturing hub-এ পরিণত হবে ভারত! SCO- সম্মেলনে আরও যা বললেন মোদী