মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট খারিজ শীর্ষ আদালতে, পিছু হঠে মুখ পুড়ল কংগ্রেসের
উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইড়ু মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট নোটিশ খারিজের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কংগ্রেস। অবশেষে তা প্রত্যাহার করে নিল রাহুল গান্ধীর দল।
উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইড়ু মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট নোটিশ খারিজ করে দেন। তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কংগ্রেস। তবে সেই আবেদন ধোপে টিকবে না বুঝতে পেরে অবশেষে তা প্রত্যাহার করে নিল রাহুল গান্ধীর দল। সুপ্রিম কোর্টও কংগ্রেস নেতা কপি সিব্বলের আবেদনের পর তা খারিজ করতে দেরি করেনি। ফলে দীপক মিশ্রকে সরানোর যে প্রক্রিয়া বিরোধীরা শুরু করেছিলেন তাতে জল পড়ে গেল।
কংগ্রেসের দুই রাজ্যসভার সদস্য প্রতাপ সিং বাজওয়া ও আমে হর্ষাদ্রে যাজ্ঞিক মিলে সুপ্রিম কোর্টে দীপক মিশ্রকে নিয়ে আনা ইমপিচমেন্ট বেঙ্কাইয়া নাইড়ু খারিজ করার পর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। সেই আবেদন বিচার করতে বসেছিল শীর্ষ আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। তবে এদিন কংগ্রেস নিজে থেকেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আদালতের নিজে থেকে কোনও রায় দিতে হল না।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি একে সিকরি, বিচারপতি এসএ ববডে, এনভি রামানা, অরুণ মিশ্র, একে গোয়েল।
অন্য সিনিয়র বিচারপতি জে চেলারামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, এমবি লোকুর ও ক্যুরিয়ন জোসেফ যাঁরা বিক্ষুব্ধ হিসাবে কয়েকমাস আগে দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন, তাঁদের এই মামলার বিচারের দায়িত্বে রাখা হয়নি। গত ১২ জানুয়ারি সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতি মিশ্রর বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরির অভিযোগ আনেন।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সহ সাতটি বিরোধী দল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে পদ থেকে সরাতে পিটিশন সই করে। সেটাকে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইড়ুর কাছে পেশ করা হলে তিনি তা খারিজ করে দেন। যার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েও শেষে পিছু হঠতে হল কংগ্রেসকে।