আপ ঝড়ে ধরাশায়ী বিজেপি। তবু কংগ্রেসই ফ্যাক্টর কিছু কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে
আপ ঝড়ে ধরাশায়ী বিজেপি। তবু কংগ্রেসই ফ্যাক্টর কিছু কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে আম আদমি পার্টিই জনাদেশ পাবে সরকার গড়ার সেই পূর্বাভাস ছিলই। সেইমতোই হল দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল। আপ ঝড়ে ধরাশায়ী হল বিজেপি। কংগ্রেসের পরিণতি হল শূন্যে। কিন্তু কংগ্রেসের এই শূন্য পরিনামকে আত্মত্যাগ বলেই ক্ষান্ত হলে হবে না। কংগ্রেস কিন্তু বহু কেন্দ্রেই ভোট কেটেছে বেশ।
আপের মার্জিন কমেছে, কংগ্রেসই ফ্যাক্টর
কংগ্রেসের জন্যই বহু কেন্দ্রে আপের মার্জিন কমেছে। কংগ্রেস যেখানে ভিআইপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানেই কার্যত ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। যদিও শেষপর্যন্ত জয় পেয়েছে সেই আপই। বিজেপি হারতে হারতে নেমে গিয়েছে এক অঙ্কে। আর কংগ্রেস খাতা খুলতেই পারেনি ২০১৫ সালের মতো।
কংগ্রেসের সিনিয়র এবং শক্তিশালী প্রার্থী
বিজেপি কয়েকটি আসনে ভালো ফল করেছে বা জিতেছে, যেখানে কংগ্রেস সিনিয়র এবং শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে কিছুক্ষেত্রে আপের সম্ভাবনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আপ পিছিয়ে পড়েছে লড়াইয়ে বা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থীর কারণেই অনেক প্রার্থীই কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
যে সব কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
বিজেপির সঙ্গে যেসব আসনে আপের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে, সেগুলি হ'ল উত্তর দিল্লির মডেল টাউন ও করওয়াল নগর, পূর্ব দিল্লির দ্বারকা ও কৃষ্ণনগর এবং পশ্চিম দিল্লির মতিনগর। বলিমনার ও ওখলার মতো মুসলিম অধ্যুষিত আসনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পিছনে আছে কংগ্রেসের ভোটা কাটাকাটির অঙ্ক। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেসের ভোটদাতারা আপের পক্ষে ভোট দিয়েছে, সেই কারণেই হিসেব বদলে গিয়েছে।
কংগ্রেস আত্মত্যাগ! নাকি হালে পানি না পাওয়া
কংগ্রেসের রাজ্যসভার এক সাংসদ দু'দিন আগে দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস আত্মত্যাগ করেছে। তাই আপই জিতবে। বিজেপির কোনও সম্ভাবনা নেই। কংগ্রেস চায়নি ভোট কাটাকাটি করে বিজেপির সুবিধা করে দিতে। তাই সেভাবে প্রচার করেনি। তবে অনেক কেন্দ্রের কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়া করানো কিন্তু সেই বার্তা দেয় না।
ত্রিমুখী লড়াইয়ে হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে লড়াই
রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ আবার দাবি করেছে, কংগ্রেস কিছু কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়েছিল ঠিকই। তাঁরা আশা করেছিল আপ ওইসব কেন্দ্রে কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে বা আপের ভোট কংগ্রেসের প্রার্থীর দিকে যেতে সহায়তা করবে। কিন্তু আদতে তা দেখা যায়নি। তাই ত্রিমুখী লড়াইয়ে হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে ওইসব কেন্দ্র।