কংগ্রেসকে গান্ধী বংশের ট্যাগ-মুক্ত করার উদ্যোগ, রাহুলের নেতৃত্বে আড়াআড়ি বিভাজন
কংগ্রেসের নেতৃত্বে কি ফিরবেন রাহুল গান্ধী! এই নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখনই বিভাজন রেখা স্পষ্ট হল কংগ্রেসে। একেবারে আড়াআড়ি বিভাজন বললেও অন্যথা হয় না।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে কি ফিরবেন রাহুল গান্ধী! এই নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখনই বিভাজন রেখা স্পষ্ট হল কংগ্রেসে। একেবারে আড়াআড়ি বিভাজন বললেও অন্যথা হয় না। রাহুল গান্ধী যখন সভাপতিত্ব ছাড়লেন তখন রাহুলের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন অনেকে। এবার কিন্তু দেখা গেল ভিন্ন ছবি।
রাহুল সভাপতিত্ব ছাড়ার পর
রাহুল সভাপতিত্ব ছাড়ার পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সেই আসনে পাওয়া যায়নি। শেষমেশ অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতিত্বের দায়িত্ব নেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর বয়স হয়েছে, তিনি আর চাপ নিতে পারছেন না। তাই বিকল্প হিসেবে একাংশ ফের রাহুলের নামই ভাসিয়ে দেন। কিন্তু বেশ কিছু রাজ্য থেকে আসে আপত্তি।
গান্ধী-বংশের ট্যাগ থেকে মুক্ত হতে
একাংশ চাইছে গান্ধী-বংশের ট্যাগ থেকে মুক্ত হোক কংগ্রেস। চাইছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধীও। তাই কংগ্রেস এখন এই প্রশ্নে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিতর্ক চলছে। কিছু তরুণ নেতা মনে করছেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে রাহুল নেতৃত্ব দিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে তা সুবিধা হবে। তখন তাঁরা রাহুলের নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গটি প্রচারে তুলে আনবেন।
কংগ্রেসে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন
আবার কিছু কংগ্রেস নেতা বলছেন, বর্তমানে নেতৃত্বহীনতায় দলের ছন্দ কেটে গিয়েছে। সর্বস্তরে নিষ্ক্রিয়তা হতাশায় ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের। প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত মনে করেন দলে ছয় থেকে আট জন লোক রয়েছেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো।
রাহুল গান্ধীর সঠিক পদক্ষেপ
অনেকে আবার মনে করেন, রাহুলকে ঘিরে রয়েছে কিছু এমন নেতা, যাঁরা তাঁকে ফিরে চান শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্য। কিন্তু সত্যিই দলের ভারো কেউ ভাবছেন না। রাহুল গান্ধী সভাপতিত্ব ছেড়ে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছেন বলে একাংশ মনে করে।