রাম মন্দিরের ভূমি পূজার স্বাদ চাইছে কংগ্রেসও! রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জলাজ্ঞলি?
কয়েকদশকের জলঘোলার পর শেষ পর্যন্ত গতবছর আদালতের নির্দেশে সবুজ সংকেত পায়। তবে এরপরও রামমন্দির তৈরি নিয়ে বিতর্কের অবসানের কোনও চিহ্ন নেই। গত সপ্তাহেই এই ভূমিপূজা আটকাতে মামলা গড়ায়ে আদালত পর্যন্ত। তবে সেক্ষেত্রে শেষ হাসি হেসেছে অযোধ্যা মন্দির নির্মাতারা। ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। এরই মাঝে কংগ্রেসের নয়া দাবি, সব রাজনৈতিক দলকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ।
ভূমি পূজা নিয়ে আদালতে মামলা
করোনা আবহে অযোধ্যায় ভূমি পূজা করলে কেন্দ্রীয় সরকারের আনলক টু-র নিয়মবিধি ভাঙ্গা হবে বলে দাবি তোলেন বিরোধীরা। আর ঠিক এই কারণে কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাকেত গোখলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, এই ভূমি পূজা আটকানোর জন্য। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই পূজায় অংশ নেওয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
অযোধ্যা যাওয়া নিয়ে মোদীকে আক্রমণ
এআইএমআইএম প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়য়াইসি এনিয়ে আক্রমণ করে বলেন, 'মোদী যদি রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের সাংবিধানিক শপথ লঙ্ঘন করবেন। ১৯৯২ সালে সেখানে দুষ্কৃতীরা ৪০০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল। সেকথা ভুলে গেলে চলবে না। সেখানেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। তাই নিয়ে এতো উন্মাদনায় প্রধানমন্ত্রীর শরিক হওয়া মানায় না।'
অযোধ্যার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চায় কংগ্রেসও
মোদীর অযোধ্যা যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেসও। তবে এবার সুর পাল্টে কংগ্রেস চাইছে এই রাম পুজোয় অংশ নিতে। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেন, 'আদালতের রায়ের পর রামমন্দির নিয়ে সমস্ত বিবাদ আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। তবে আমাদের মনে হয়, মন্দির নির্মাতাদের ভূমি পূজায় সকল রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ।'
৫ অগাস্ট অযোধ্যার রামজন্মভূমিতে ঐতিহাসিক মুহূর্ত
৫ অগাস্ট অযোধ্যার রামজন্মভূমিতে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। সেদিন রাম মন্দির নির্মাণের ভূমি পুজো করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলছে প্রস্তুতি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। এছাড়াও প্রায় ২০০ অতিথি সমাগম হবে অযোধ্যার এই রামমন্দির নির্মাণের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে।
যুদ্ধের হোক না হোক, ফ্রান্সের হাত ধরে ভারতকে স্ট্র্যাটেজিক জয় এনে দিল রাফাল!