ব্যাখ্যাতেও মন গলল না! ফেসবুক-বিজেপি আতাঁত কাণ্ডে এবার সোজা সাজার নিদান কংগ্রেসের
বিজেপির সঙ্গে ফেসবুকের আঁতাতের অভিযোগ রবিবার থেকেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিজেপি নেতাদের হিংসায় উস্কানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুক ইণ্ডিয়ার পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাসের বিরুদ্ধে। আর এই প্রেক্ষিতেই এবার আঁখির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলল কংগ্রেস।

ফেসবুক কাণ্ডে সুর চড়িয়েছে বামেরা
এর আগে এই বিষয়েই সরব হতে দেখা যায় সিপিআইএমকে। এই গোটা চক্রের পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে বলেও এদিন সুর চড়ায় বামেরা। ফেসবুকের এই কর্মকামণ্ডের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয় লাল দলগুলির তরফে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের জন্যে যৌথ সংসদীয় কমিটির তৈরির ডাক দেয় বামেরা।

তদন্তের দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী
আর এদিকে এই ইস্যুতে যুগ্ম সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধীও। সরাসরি বিজেপি এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে অবাধে ফেক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। টুইটে রাহুল গান্ধী লেখেন, ভারতে বিজেপি ও আরএসএস ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটার মাধ্যমে ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয় এবং ভোটারদের প্রভাবিত করে। অবশেষে সত্যিটা সামনে এনেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম।

বিতর্কিত প্রতিবেদন কী বলা হয়েছে?
রাহুল যে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন সেখানে লেখা হয়েছে, আপত্তিকর বা প্ররোচনামূলক পোস্টের ক্ষেত্রে ফেসবুক সাধারণত যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বিজেপি-র কোনও নেতা বা কর্মীর ক্ষেত্রে সেই ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, ফেসবুকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজেপি-র নেতা ও কর্মীদের পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংস্থাকে বাণিজ্যিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

অভিযোগ অস্বীকার ফেসবুকের
যদিও ফেসবুকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা সকল ধরনের বিদ্বেষমূলক ভাষণ বা কনটেন্টের উপর নিষেধআজ্ঞা জারি করি যা কি না হিংসা ছড়াতে পারে। এটা বিশ্বজুড়ে একই পলিসির মাধ্যমে আমরা করে থাকি। এতে আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত করি না। আমরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে অডিট চালাই। আমরা আরও স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য প্রকাশের বিষয়ে অনেক দূর এগোতে সক্ষম হয়েছি।'

ময়দানে নেমেছে বিজেপিও
ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে একাধিক মন্ত্রীও। রাহুলের টুইটের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা স্ক্যানডেলের কথা। সেই সময় নির্বাচনের আগে ফেসবুককে ভুলভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস শিবিরের বিরুদ্ধে।

ফেসবুক আধিকারিক আঁখির বিরুদ্ধে হুমকি
এদিকে স্ক্যানারে থাকা ফেসবুক আধিকারিক আঁখির বিরুদ্ধে হুমকিমূলক পোস্ট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।
আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হোক, প্রশান্ত ভূষণ কাণ্ডে সুপ্রিমকোর্টকে চিঠি ১৫০০ আইনজীবীর!