নোট বাতিলের ২য় বর্ষপূর্তি! মোদীর কাছে এমনই দাবি রাহুলের দলের
বৃহস্পতিবার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার নোটবাতিল ঘোষণার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি।
বৃহস্পতিবার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার নোটবাতিল ঘোষণার দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি। ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে তুঘলকি পরীক্ষা বলেও বর্ণনা করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের জেরে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে, সাধারণ মানুষ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।
কংগ্রেস মুখপত্র মনীশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, দলের কর্মী-সমর্থকরা ৮ নভেম্বর দেশ জুড়ে বিক্ষোভে সামিল হবেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এহং অন্য কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হবেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপত্র। কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ১৪ শতকে দিল্লির সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
২০১৬-র ৮ নভেম্বর রাত ৮.১৫-তে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে, সেই সময় চালু থাকা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। সেই সময় এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ হিসেবে, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ, নকল টাকা নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা এবং অন্য অসামাজিক কাজকর্মের কথা বলা হয়েছিল।
কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারির অভিযোগ, নোট বাতিলে যতটা না ফল পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে মানুষ বেশি অসুবিধায় পড়েছেন। দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই সিদ্ধান্তে। যেসব কারণের জন্য নোট বাতিল করা হয়েছিল তার কোনওটিই পূরণ হয়নি বলে দাবি কংগ্রেসের। দেশের বাজারে ২০১৬-র ৮ নভেম্বর যে টাকা ছিল, তার থেকে বেশি টাকা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কাথে কংগ্রেসের দাবি, উঠে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণ ভাবে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে দেশের বাজার থেকে টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল। ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এর সামনে লম্বা লাইন চোখে পড়েছিল। এছাড়াও ওই সিদ্ধান্তের জেরে শেয়ারবাজারেও প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে শিল্প ও কৃষিতেও।