হাথরাস থেকে ইস্যু আমদানি, বিহারে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা পার্টনারশিপে বাজিমাত করতে চাইছে কংগ্রেস
আসন্ন বিহার নির্বাচনে আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে ময়দানে নামছে কংগ্রেস। তবে জাতীয় দল হওয়া সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রের মতোই বিহারেও জুনিয়র পার্টনার হতে চলেছে কংগ্রেস। তবে এভাবেই ধীরে ধীরে দেশে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওযার লড়াইতে নেমেছে কংগ্রেস। এবং এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে হাথরাসের ঘটনাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিহার কংগ্রেস।
সেনার ভুল শোধরানোর বার্তা, মৃতদের পরিবারেরর সঙ্গে সাক্ষাৎ কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের

রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জোট বেঁধে বিজেপিকে আক্রমণ
দেখা গিয়েছে হাথরাসে বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জোট বেঁধে ক্রমাগত প্রয়াস চালিয়েছেন। এবং সেই জুটি এবং সেই ইস্যুকেই কাজে লাগাতে ছাইছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, দেশে সত্যিকার অর্থে নিম্নবর্ণ বা দলিতরা রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের অধিকার কিছুটা হলেও পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। উত্তরপ্রদেশে এসপি, বিএসপি-র মতো দল, বিহারে জেডিইউ, আরজেডির মতো দল গত কয়েক দশক ধরেই দলিতদের অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে।

হাথরাসের দলিত সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস
এদিকে গত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থানের মতো রাজ্যের দলিতরা বিএসপি থেকে দূরে সরে এসে কংগ্রেসে ভরসা দেখাচ্ছে। যার জেরের আশায় বুক বেঁধেছেন বিহারের কংগ্রেস নেতারা। এবং হাথরাসের দলিত সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা বিহারেও বাজিমাত করতে চাইছে। এবং এর জন্য রাহুল গান্ধীকে রাজ্যে এসে ৬টি এবং প্রিয়াঙ্কাকে ৩টি ব়্যালি করার আবেদন করা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে।

নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা
এদিকে নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন অম্বিকা সোনি, এ কে অ্যান্টনি, অবিনাশ পান্ডে ও অন্য নেতারা। এছাড়াও ছিলেন বিহারে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শক্তি সিং গোহিল, বিহারের কংগ্রেস সভাপতি মদন মোহন ঝা, কংগ্রেস সাংসদ সদানন্দ সিং। সেখানেও রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জুটির দাবি জানানো হয়েছিল।

হাথরাসের মূল অভিযুক্তের দাবি
এদিকে জানা গিয়েছে যে হাথরাস মামলায় মূল অভিযুক্ত অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর হাথরসের পুলিশকে একটি চিঠি লিখে দাবি করেছে, সে এবং ২০ বছরের ওই নির্যাতিতা পরস্পরের বন্ধু ছিল। হিন্দিতে হাতে লেখা চিঠিতে সে আরও দাবি করে, দেখা করা ছাড়াও তারা ফোনে কথাও বলত। সন্দীপ ঠাকুর তার চিঠিতে অভিযোগ করেছে, মৃতের পরিবার তাদের 'বন্ধুত্ব' মেনে নিতে পারেনি।

সম্মানের জন্য হত্যার তত্ব
তার কথায়, 'ঘটনার দিন আমি তাঁর (নির্যাতিতা) সঙ্গে মাঠে দেখা করতে গিয়েছিলাম যেখানে ওর মা ও ভাইরাও ছিলেন। পরে আমি গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানতে পারি, তাঁর মা ও ভাইয়েরা আমাদের বন্ধুত্বের কারণে ওকে মারধর করেছে, খারাপভাবে জখম করেছে। তাঁর মা এবং ভাইরা আমাকে এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমরা সবাই নির্দোষ।'

রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস
এদিকে পুলিশও প্রথম থেকে দাবি করে এসেছে যে হাথরাস কাণ্ডে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। এবং এসবের পর অনেকেরই ধারণা হয়েছে যে বিজেপি উচ্চবর্ণের 'ঠাকুর'-দের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশেই এই মামলা নিয়ে এত জলঘোলা করছে। আর এরই রাজনৈতিক ফায়দা বিহারে তুলতে চাইছে কংগ্রেস নেতারা। এবং হাথরাসে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা মুখ্য ভূমিকায় থাকায় কংগ্রেস এই ইস্যুতে ভোট টানতে পারবে বলে আশা করছে।
