আঞ্চলিক দলগুলির কাছে শক্তি হারিয়ে বেসামাল জাতীয় কংগ্রেস, সনিয়ার নতুন পদক্ষেপ
শেষবার বিহার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল ১৯৯০ সালে। এই বছরেই ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং মহম্মদ শামির জন্ম।
শেষবার বিহার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল ১৯৯০ সালে। এই বছরেই ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং মহম্মদ শামির জন্ম। ভারতের সব থেকে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে শেষবারের মতো কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ছিল ১৯৮৯ সালে। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিতর্কিত নেতা নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ক্ষমতা হারায় ১৯৭৭ সালে
পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের পর সব থেকে বেশি ভোটার যে রাজ্যে সেই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা হারায় ১৯৭৭ সালে। জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পরেই ১৯৭৭-এ রাজ্যে কোনও কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ছিল না। তবে ২০১১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। ক্ষমতায় আসার পর সেই জোট প্রায় দেড় বছর স্থায়ী বয়েছিল। তবে ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পর থেকেই, সেই জোটও ভেঙে যায়।
তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস ক্ষমতা হারায় ১৯৬৭ সালে
সাম্প্রতিক সময়ে তামিলনাড়ুর ক্ষমতার হাত বদল হয় এআইএডিএমকে আর ডিএমকের মধ্যে। কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল যখন রাজ্যের নাম ছিল মাদ্রাজ। রাজ্য শেষ কংগ্রেস মুখ্যমম্ত্রী পেয়েছে ১৯৬৭ সালে।
ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকায় সময়ে কংগ্রেস বর্তমানে থাকা ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত ১৮ টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু গত ২ দশকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি একটা সময়ে ২৮টির মধ্যে ৫ টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে গত ৫ বছরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন একটা সময় কংগ্রেস ওবিসি, দলিত ও মুসলিমদের সমর্থন পেয়ে এসেছে। এখন এই সমর্থনটা পাচ্ছে আঞ্চলিকদলগুলি। তারা বলছেন, কংগ্রেসের সামনে দুটি উপায় রয়েছে। রাজ্যগুলিতে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া, যাতে দীর্ঘ সময় পরে তারা ফল পেতে পারে । কিংবা আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে লড়াই করা। সেক্ষেত্রে জেতা আশনের সংখ্যার ওপর জোর দিতে হবে।
কংগ্রেসের ভোটেই বলিয়ান আঞ্চলিক দলগুলি
১৯৮৯ সালের মণ্ডল কমিশন লাগু হওয়ার পর থেকে সারা দেশে কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে ক্ষমতা বেড়েছে আঞ্চলিক দলগুলির। সেটা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা এবং দিল্লি, সবকটি রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই লড়াইয়ে কংগ্রেস চলে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। কংগ্রেস নেতারাই বলছেন এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার কোনও উপায় তারা এখনও দেখতে পারছেন না।
দিল্লিতে আপের চাপে কংগ্রেসের ভোট ৪.২৬ শতাংশ
১৯৯৮ থেকে ১৫ বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিলবল কংগ্রেস। এখন সেখানে আপ-এর চাপে তাদের ভোট কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৬ শতাংশে। কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াইয়ের জায়গা এখন আপ ও বিজেপির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
কংগ্রেসের নয়া পদক্ষেপ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে কংগ্রেস সভানেত্রী যে নীতি অনুসরণ করছেন, তা হল, শক্তিশালী আঞ্চলিক দলের সঙ্গে দলের জোট তৈরি করা। পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে দলের শক্তি বাড়ানো।