কংগ্রেসে ফাটল! নবীন বনাম প্রবীণ বিগ্রেডের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও
কংগ্রেসের অভ্যন্তরের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সম্প্রতি দেশের বর্তমান সঙ্কটকালীন মুহূর্তে কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদেরা। কিন্তু তার পর থেকেই দলের মধ্যেই মত বিরোধ ক্রমশ প্রকট হয়ে পড়ছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাহুল শিবির ও প্রাচীনপন্থীদের নিয়ে মনমোহন শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে কংগ্রেস।

রাজ্যসভার মোট ৩৪ জন সাংসদকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার মোট ৩৪ জন কংগ্রেস সাংসদে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন বলে জানা যায়। বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ছিল। গোটা দেশেই সাম্প্রতিক একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতে কংগ্রেসের রণকৌশল ঠিক করতেই মূলত এই বৈঠকটি আহ্বান করা হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বৈঠকের দু-দিন কাটতে না কাটতেই বাস্তবে ফল হিতে বিপরীত হল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।

সোশ্যাল মিডিয়াতে কংগ্রেস নেতাদের কাজিয়া
এই বৈঠকের পর থেকেই ক্রমেই দলীয় গোলযোগ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে খবর। প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের নবীন এবং প্রবীণ ব্রিগেড। সূত্রের খবর, নবীন ব্রিগেডের আক্রমণের মুখে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সমর্থনে সরব হতে দেখা যায় আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারিদের।

ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা প্রচার চলেছিল
ইউপিএ আমলে কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচনী প্রচার নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরকে। ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল বলেও এদিন অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে। এদিকে মনমোহন সরকারের আর এক মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারিও দলীয় মতপার্থক্য নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন।

ভুল তথ্য জেনে দলের অন্দরেই মনমোহন সরকারকে নিশানা করা হচ্ছে, ক্ষোভ মনীশের
কংগ্রেসের অন্দরে কিছু লোকজন ভুলভাবে, সঠিক তথ্য না জেনে মনমোহন সরকারকে নিশানা করছে বলে ক্ষোভ উগরে দেন মণীশ তিওয়ারিও। তার কথায়, "১০ বছর বিজেপিও ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু, কেউ বাজপেয়ীকে তার জন্য দোষ দেয়নি।" পাশাপাশি পরপর ১১টি টুইট করে ইউপিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাকে। যদিও এদিন হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে দেখা যায় শশী থারুরকেও। বিরোধীদের পাতা ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেয় সেই বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
'রাম মন্দিরের ভূমি পূজার দিন যদি লকডাউন চলে...' মমতাকে তুমুল হুঁশিয়ারি দিলীপের
