কংগ্রেসের সমর্থন নিয়েই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে চলেছে শিবসেনা, সবুজ সঙ্কেত দিলেন সোনিয়া
মহারাষ্ট্রের জোট সরকার গড়তে শিবসেনাকে সমর্থন করতে চলেছে কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রের জোট সরকার গড়তে শিবসেনাকে সমর্থন করতে চলেছে কংগ্রেস। এদিন এই বক্তব্য জানিয়ে রাজভবনে তাঁরা চিঠি দিচ্ছে বলে খবর। তার আগে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে টেলিফোনে কথা বলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। সেখানে তাদের মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে কথা হয়। সেই আলোচনার পরই বরফ গলেছে।
সোনিয়া গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর দল মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারকে সমর্থন করবে। এই সরকারে সঙ্গী হতে চলেছে ইউপিএ জোটের আর এক শরিক এনসিপি-ও। গত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে জল্পনা চরমে উঠেছিল। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল শিবসেনা এবং বিজেপি দুই দল এক সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়বে না। কারণ মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগ করতে বিজেপি রাজি নয়। আর তার পরই শিবসেনা আলোচনা শুরু করে।
এদিকে বিজেপিও কোনওভাবেই শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় এটা পরিষ্কার হয়ে যায়, মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সরকার গড়তে হলে এনসিপি ও কংগ্রেস দলের সাহায্য নিতে হবে। কারণ কোনও দুটি দল একসঙ্গে মিলে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না। এরপর ঘটনাক্রমে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল প্রথমে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপিকে সরকার গড়ার আহ্বান জানালে গেরুয়া শিবির থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় তারা সরকার গড়তে পারবে না।
এরপরই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালকে সরকার গড়ার আহ্বান জানানো হয়। এদিন তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই আলোচনার মাধ্যমে কংগ্রেসকে রাজি করিয়ে ফেলেছে শিবসেনা। এবং কংগ্রেসের সঙ্গ পাওয়ার পরেই রাজভবনের উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। সরকার গঠনের দাবি-দাওয়া পেশ করবেন তিনি।
এখন এটাই দেখার যে কংগ্রেস ভেতরে থেকে সমর্থন দেয় নাকি বাইরে থেকে। কারণ কংগ্রেসের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। কংগ্রেস ভেতর থেকে সমর্থন দিতেও পারে। আবার বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে সরকার টিকিয়ে রাখতে পারে।
অন্যদিকে শিবসেনা ইতিহাস গড়তে চলেছে। এই প্রথমবার কোনও শিবসৈনিক মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের। এবং তার থেকেও বড় কথা, ঠাকরে পরিবারের কেউ এই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন। এর আগে ঠাকরে পরিবারের কেউ ভোটে দাঁড়াননি। এই প্রথমবার আদিত্য ঠাকরে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে এনসিপি যদি বেঁকে বসে সেক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরে হতে পারেন মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেক্ষেত্রে উদ্ধবকেও প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে আরও এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।