বিহার ভোটে কি একলা চলো নীতি গ্রহণ করবে কংগ্রেস? জোট নিয়ে কী ভাবছেন রাহুল-সনিয়ারা
বিহারের নির্বাচনী ময়দান ইতিমধ্যেই কাঁপিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিহারের ভোটের জন্য বিজেপির প্রস্তুতি খাতায়-কলমে শুরু হয়ে গিয়েছিল সেদিনই। তবে এতদিন ঘুমিয়েই কাটাচ্ছিল জাতীয় কংগ্রেস। তবে এবার ঘুম ভাঙল সোনিয়া, রাহুলদের। শুক্রবার ভোট প্রস্তুতি শুরু করল কংগ্রেস।
বিহার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের বৈঠক
এদিন বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বিহার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করার জন্যে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধী। এছাড়া রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরের নেতাদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা সাংসদ শক্তি সিং গোহিল একথা জানান।
করোনা সংক্রমণ এবং ভোট প্রস্তুতি
বিহারের বন্যা পরিস্থিতি, করোনা সংক্রমণ এবং ভোট প্রস্তুতি, সব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল। করোনা পর্বে এর আগেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল। যদিও বিহারের কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এখনই জোট শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কথা বলা হবে না।
আগের বার কংগ্রেসের হাত ছেড়েছিলেন নীতীশ
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথম সরকারে আসার এক বছরের মধ্যে ভোট হয়েছিল বিহারে। ১৫-র ভোটে বিজেপি তথা এনডিএ-এর বিরুদ্ধে মহাজোট গড়েছিল কংগ্রেস, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তবে পরে নীতীশ বিজেপির সঙ্গে মিলে আলাদা সরকার গঠন করেন।
দেখে খেলার নীতি গ্রহণ করতে চাইছে কংগ্রেস
এই অবস্থায় আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকবে কংগ্রেস, সেটাই মনে করা হচ্ছে। কারণ গত বছর ঝাড়খণ্ডেও এই নির্বাচনী সমীকরণে লড়া তারা। তবে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে এক একটি দলের শক্তি এক এক রকম। তাই পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নিরিখে এখানে আসন বণ্টন হবে না। তাই দেখে খেলার নীতি গ্রহণ করতে চাইছে কংগ্রেস।