মোদী সরকার প্রসঙ্গে নাক কোঁচকালো কংগ্রেস, প্রশ্ন উঠল স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও
মঙ্গলবার অজয় মাকেন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে টুইট করে বলেন, :"মোদীর কী ক্যাবিনেট? মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী (যাঁর দায়িত্বে শিক্ষাও রয়েছে) স্মৃতি ইরানি স্নাতক উত্তীর্ণও নন! ইসিআই সাইটে পৃষ্ঠা ১১-য় ওঁর হলফনামা দেখুন।"
নির্বাচন কমিশনে স্মৃতি ইরানির দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, স্মৃতির সর্বশেষ শিক্ষা হিসাবে দেওয়া রয়েছে বি.কম পার্ট ওয়ান, স্কুল অফ ওপেন লার্নিং, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৪। এদিকে রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে স্মৃতি ইরানির বায়োডাটায় লেখা রয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করসপন্ডেন্ট অ্যান্ড কন্টিনিউইং এডুকেশন এবং দিল্লির হলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন।
নয়া সরকারে তরুণ মুখ এবং রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা উভয়েরই অভাব রয়েছে: কংগ্রেস
অজয় মাকেন বলেন, ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা নিষ্প্রভ এবং আঞ্চলিক ভারসাম্যহীন। একইসঙ্গে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে মন্ত্রিসভায়। ইউপিএ ১ এর সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ইউপিএ ১-এ ক্যাবিনেটে প্রণব মুখোপাধ্যায়, পি চিদম্বরম, নটওয়র সিং, অর্জুণ সিং, শিবরাজ পাটিল এবং শরদ পাওয়ারের মতো সদস্যরা ছিলেন। যেখানে মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে অনভিজ্ঞ।
(এখানে ক্লিক করে আরও পড়ুন : সোনিয়া গান্ধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, পাল্টা তোপ বিজেপি-র)
এ পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর 'ছোট মন্ত্রিসভা উচ্চমানের শাসন ব্যবস্থা' নীতিরও সমালোচনা করেন মাকেন। তিনি বলেন, ভিন্ন কিছু মন্ত্রককে যুক্ত করারও কোনও মানে হয় না। কেন একজন স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে নিয়োগ করলেন না প্রধানমন্ত্রী।
হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখন্ড, কেরালা, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম ও ৬ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে কেন কোনও প্রতিনিধি নেওয়া হল না মন্ত্রিসভায় সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মাকেন। মাকেন বলে মোদীর মন্ত্রিসভায় আঞ্চলিক ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। এমনকী গুজরাত থেকে ২৬ জন সাংসদ পেলেও মাত্র একজনকেই কেন রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে রাখলেন মোদী। মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রেও চিত্রটা অনেকটাই এক বলে প্রশ্ন তোলেন মাকেন।
নয়া সরকারে তরুণ মুখের অভাব রয়েছে বলে মনে করেন অজয় মাকেন। তিনি বলেন, ইউপিএ- ২ সরকারে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতেন প্রসাদ,আগাথা সাংমা, অরুণ যাদব এবং আরও অনেকেই ছিলেন।