'সং'-বাদ নয়, সাসপেন্ড হয়ে ফের সংবাদে মোস্তাফা
টি এইচ মোস্তাফা কেরলের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। কংগ্রেসের টিকিটে পাঁচবার বিধায়ক হয়েছেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কে করুণাকরণের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী ছিলেন। লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল দু'দিন আগে। জবাবে তিনি বলেছিলেন, "রাহুল গান্ধী সঙের মতো আচরণ করেছেন। তাই লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপর্যস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা শিশুসুলভ হওয়া উচিত নয়। মানুষ বুঝতে পেরেছে বলেই কংগ্রেসকে এমন শিক্ষা দিয়েছে। রাহুল গান্ধী কম্পিউটার আর ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করেন আর তাঁকে ঘিরে থাকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির কিছু নেতা। উনি যা করেন, এঁরা তাতেই প্রশংসা করেন। এ কে অ্যান্টনির মতো বর্ষীয়ান লোকও এই মোসাহেবদের দলে আছেন।" তিনি আরও বলেছিলেন,"রাহুল গান্ধীর উচিত এক্ষুণি পদত্যাগ করা। নিজের ইচ্ছায় না সরলে জোর করে সরিয়ে দিতে হবে। দলের ভার তুলে দেওয়া উচিত প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হাতে।"
এই মন্তব্যকে কংগ্রেস যে হালকাভাবে নেয়নি, তা বোঝাতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল দল থেকে। দলীয় সূত্রে খবর, ভোটের বিপর্যয়ের দায় সামগ্রিক, কারও একার নয়। এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। অথচ সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলে অনৈতিক কাজ করেছেন টি এইচ মোস্তাফা।
কংগ্রেসের এই প্রাক্তন মন্ত্রী অবশ্য নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে নারাজ। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাঁর মতে, যা বলেছেন, সঠিক কথা বলেছেন। এতে কারও খারাপ লাগলে কিছু করার নেই।