রাহুলের ভারত পরিক্রমার ধাঁচে ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রা কংগ্রেসের, ঢাকে কাঠি তেইশের
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা ভারতে একতার মন্ত্র দিতে তিনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা ভারতে একতার মন্ত্র দিতে তিনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস একই ধাঁচে শুরু করল ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রা।
বছর ঘুরলেই ২৩-শে প্রথমেই বিধানসভা ভোট হবে ত্রিপুরায়। তার আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রার সূচনা করল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ভারত পরিক্রমায় যে জোয়ার এসেছে, তা কাজে লাগাতে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সেই পদযাত্রার আশ্রয়ই নিল।
কংগ্রেসের ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। তিনদিনেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এই পদযাত্রা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ত্রিপুরায় যে নাভিশ্বাস উঠেছে, রাজ্যে বিজেপি সরকার যে দুঃশাসন চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ এই পথ পরিক্রমা। রাজ্যের বিজেপি সরকার যে সর্বদিন থেকে ব্যর্থ, এই পদযাত্রার মাধ্যমে সারা রাজ্যব্যাপী তা তুলে ধরতেই এই ত্রিপুরা পরিক্রমায় নেমেছে কংগ্রেস।
শনিবার যে ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রা শুরু হয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক ড, অজয় কুমার, উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েই কংগ্রেসের নতুন পদযাত্রা শুরু হল। কংগ্রেসের এই যাত্রা থেকে ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে।
গান্ধী ঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব়্যালির যাত্রা শুরু হয়। এই সমাবেশে যোগ দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রবীন নেতা আশিস সাহা-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারীরাও। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই পদযাত্রা ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রেই হবে। ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রেই অনুরূপ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
কংগ্রেস এই ত্রিপুরা বাঁচাও যাত্রা ১২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। পদযাত্রা ও সমাবেশের মাধ্যমে জনসংযোগ করা হবে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সংগঠনকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনায় কংগ্রেস এই পরিকল্পনা নিয়েছে।
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখে রাজ্যের মানুষ এই শাসকের শাসন থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। ত্রিপুরাকে সুশাসন দিতে হবে তাঁদেরই। কংগ্রেসকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যকে সুশাসন দিতে হবে, আর রাজ্যের সর্বনাশা শক্তি বিজেপিকে হটাতে হবে।
ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নিয়েছে এক বড় কর্মসূচি। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে রাজ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখাতে চাইছে কংগ্রেস। বিজেপিকে যে একমাত্র তারাই হারাতে পারে, তা দেখানোর পাশাপাশি তৃণমূলকে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে রাখছে তারা, যতই কংগ্রেসকে ভেঙে শক্তি খর্ব করার চেষ্টা হোক, মানুষের সমর্থনে তারাই এবা মহা শক্তিধর হয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে