নেতৃত্ব তো আর এক পেয়ালা চা নয়! জ্যোতিরাদিত্যের প্রস্থানে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট সঞ্জয়ের
মহাসংকটে কংগ্রেস। বলা ভালো নেতৃত্ব সংকটে কংগ্রেস। কংগ্রেসের শীর্ষ সারির মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা নেতৃত্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আগেই। সাবধান হতে বলেছিলেন।
মহাসংকটে কংগ্রেস। বলা ভালো নেতৃত্ব সংকটে কংগ্রেস। কংগ্রেসের শীর্ষ সারির মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা নেতৃত্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আগেই। সাবধান হতে বলেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস সাবধান হয়নি। তাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো একজন নেতাকে খোয়াচ্ছে, তাঁর অনুগামী বিধায়কদের খোয়াচ্ছে। সর্বোপরি খোয়াতে হচ্ছে এক রাজ্য।
নেতৃত্ব সংকট মারাত্মক আকার নিয়েছে
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর সঞ্জয় ঝা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন নেতৃত্ব সংকট মারাত্মক আকার নিতে পারে। কংগ্রেসের কাছে অ্যালার্মের ঘন্টা অনেকদি্ন ধরেই বাজছিল। মধ্যপ্রদেশের জনপ্রিয় নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদক্ষেপের পর আরও সংকট তীব্র হল। মধ্যপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যের ক্ষমতা হারানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
নেতৃত্ব তো আর এক পেয়ালা চা নয়
জ্যোতিরাদিত্যর মতো হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। কংগ্রেসের হাল এতে আরও খারাপ হবে। এমনিতেই নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। সঞ্জয় ঝা বলেন, নেতৃত্ব তো আর এক পেয়ালা চা নয়। যে চাইলাম আর নেতৃত্ব পেয়ে গেলাম। কংগ্রেস দীর্ঘদিন হল রাহুল গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া আসনে কোনও নেতাকে বসাতে পারলেন না।
একের পর এক রাজ্যে কোন্দল মারাত্মক রূপে
উল্লেখ্য, এখনও সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির পদ সামলে যাচ্ছেন। তাঁর পক্ষে গোটা দেশ চষে বেড়ানো, সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে কোন্দল তীব্র আকার নিচ্ছে। বিজেপি ভোটে হেরেও রাজ্যের ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে। একের পর এক রাজ্যে দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা।
নেতৃত্বের সংকট তৈরি করেছিলেন রাহুল গান্ধী
কংগ্রেসের শীর্ষ মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেন, আমি যখন প্রথমে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম তখন অধিকাংশই মনে করেছিলেন যে সঞ্জয় ঝা রাহুল গান্ধীর উপর আক্রমণ চালাচ্ছিলেন। রাহুল গান্ধী গত বছর সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদত্যাগ করেছিলেন দায় নিয়ে। তিনি এমন নেতৃত্বের সংকট তৈরি করেছিলেন, যা সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে সামলানো সম্ভব হল না।
কমলনাথের সরকার ঘোর বিপাকে পড়ে গেল
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগামীদের অপসারণে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের সরকার ঘোর বিপাকে পড়ে গেল। জ্যোতিরাদিত্যর অনুগামী ২৪ বিধায়কের অপসারণে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশে। এখন ২০ জন বিধায়ক পদত্যাগ করলেও ম্যাজিক ফিগার ১১৬ থেকে কমে দাঁড়াবে ১০৬-এ। তখন বিজেপি হাসতে হাসতে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবে।
মোদীর গড়ে চিৎপাত এবিভিপি, গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয়কেতন ওড়াল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন