প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর তৈরি বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করল কেরল কংগ্রেস
বিতর্কিত তথ্যচিত্র ঘিরে অশান্তির কালো মেঘ ক্রমশ গভীর হচ্ছে। আর এর মধ্যেই কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ঘিরে চড়ছে উত্তেজনা
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে! আর এর মধ্যেই সেই তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করল কেরল কংগ্রেস। রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে একেবারে বড় স্ক্রিনে এই বিতর্কিত এই তথ্যচিত্রটি দেখানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রটি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এমনকি সমস্ত ইউটিউব এবং টুইটার থেকেও এই সংক্রান্ত লিঙ্ক মুছে দেওয়ার নির্দেশ সরকার দিয়েছে। আর এর মধ্যেই সে রাজ্যে এই তথ্যচিত্রটি দেখানো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সত্যকে আটকানো যাবে না।
যদিও এই বিতর্কের মধ্যেই এই তথ্যচিত্র নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী। বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রটি ব্লক করা নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। রাহুল বলেন, এভাবেই সত্যকে আটকানো যাবে না। একদিন তা সামনে আসবেই। আর এই বিতর্কের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়েন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি (Anil K Antony)। এ বিষয়ে কংগ্রেসের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়েই তিনি দলত্যাগ করেছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন অনিল। এমনকি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টারের উপর নির্ভর করে ভারতীয় সংস্থানের উপর প্রশ্ন তোলা মানে দেশের সার্বভৌমত্বকে 'দুর্বল' করবে বলেও মন্তব্য করেন অনিল।
অনিলের পদত্যাগের পরেই দেখানো হল এই তথ্যচিত্রটি
পদত্যাগ পত্রে অনিল কংগ্রেসের কিছু সহকর্মীকে নিশানা করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, আমার কিছু নিজস্বতা রয়েছে, যা আমাকে বিভি্নন উপায়ে পার্টির খুব কার্যকর অবদান রাখতে সাহায্য করেছে বলে আমি মনে করি। তবে কংগ্রেসের ভূমিকা আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে। আমি কেবল একজন দালাল বা চামচা হয়ে কাজ করতে আগ্রহী নই। অনিলের ইস্তফা কংগ্রেসের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর পদত্যাগের পরেই বিতর্কিত এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নয়া মাত্রা যোগ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে বিদেশমন্ত্রক এই তথ্যচিত্রটিকে উসকানিমূলক ভাবে ব্যাখ্যা করেছে। এমনকি এই তথ্যচিত্র ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন্দ্র। আর এর মধ্যেই এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, আপনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ বা ব্যবহার করতে পারেন, তবে সত্যকে কোনও ভাবে আটকানো সম্ভব নয় বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। সত্য একদিন সামনে আসবেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে সাময়িক ভাবে মুখ বন্ধ করা যায়। কিন্তু সত্য বেরিয়ে আসবে বলেই দাবি রাহুলের। অন্যদিকে শুধু কংগ্রেসই নয়, ইতিমধ্যে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত এই তথ্যচিত্রটি দেখানোর ঘোষণা করেছে। আর তা নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।