independence day: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস, ৪৭ সালে নেহরুর বিখ্যাত বক্তব্য শেয়ার করছে কংগ্রেস
আজ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষ্যে কংগ্রেস প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে লেখা তার বিখ্যাত প্রথম স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতার শেয়ার করেছে। যাতে তিনি দেশের "ডেট অ্যান্ড ডেস্টিনি" সম্পর্কে লিখেছেন। "নিয়তির সাথে লড়াই"-বলে তিনি লিখেছেন।
কী বলেছেন জয়রাম রমেশ?
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, যোগাযোগ, জয়রাম রমেশও গণপরিষদের মধ্যরাতের অধিবেশনে দেওয়া নেহেরুর বক্তৃতার ভিডিও শেয়ার করেছেন যখন ভারত ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। রমেশ টুইটারে বলেছেন, "৭৫ বছর আগে, মধ্যরাতের একটু পরে, নেহরু তাঁর অমর 'Tryst with Destiny' দিয়েছিলেন। বক্তৃতা এখানে ১৪.০৮.১৯৪৭ তারিখে তার হাতে লেখা খসড়া। তিনি এটি "ডেট উইথ ডেসটিনি" হিসাবে লিখেছিলেন।"
নেহরু খসড়া নোট
নেহরু
তার
খসড়া
নোটে
লিখেছেন,
"Long
years
ago
we
made
a
date
with
destiny,
and
now
the
time
comes
when
we
shall
redeem
our
pledge,
not
wholly
or
in
full
measure,
but
very
substantially.
At
the
strike
of
the
midnight
hour,
when
the
world
sleeps,
India
will
wake
to
life
and
freedom."
আর কী লিখেছিলেন ?
"এমন মুহূর্ত ইতিহাসে খুব কমই আসে, যখন আমরা পুরনো থেকে নতুনের দিকে পা রাখি, যখন একটি যুগ শেষ হয় এবং যখন জাতির আত্মা,নতুন ভাষা খুঁজে পায়। এটা উপযুক্ত যে এই গৌরবময় মুহুর্তে আমরা ভারত ও তার জনগণের সেবা এবং মানবতার আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্যের প্রতি উৎসর্গের অঙ্গীকার গ্রহণ করছি।" নেহরু তার ১৪ অগাস্ট, ১৯৪৭ সালের খসড়া নোটে এমনটাই বলেছিলেন।
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে ১৭ বার তেরঙ্গা উত্তোলন করেছেন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯২০-এর দশকের শেষের দিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ১৯৩০-এর দশকের প্রথম দিকে একজন বিশিষ্ট নেতা হয়ে ওঠেন। নেহেরু ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭-এ প্রথমবারের মতো তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন লাল কেল্লায় নয়, নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে প্রিন্সেস পার্কে।
ভারতের আয়রন লেডি হিসাবে পরিচিত তিনি। তিনিী আবার পরিচিত প্রিয়দর্শিনী হিসাবে। তিনি ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৬ বার পতাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত এবং আবার ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে তার হত্যার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দ্বিতীয় দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গান্ধীই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র মহিলা যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
ছবি সৌজন্য ঃ টুইটার