ড্যামি রাষ্ট্রপতি ছাড়া আর কিছু হতে পারবেন না দ্রৌপদী, বিজেপিকে কটাক্ষ কংগ্রেসের
এনডিএ তাঁদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুকে। আর তারপরেই কংগ্রেসের পুদুচেরি ইউনিট বলেছে যে বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু খুব বেশি হলে 'ডামি প্রেসিডেন্ট' হতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কিছু না। এই মন্তব্যের তিব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপি বুধবার কংগ্রেসের পুদুচেরি ইউনিটকে দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে বলে তাদের দিকে আঙুল তুলেছে । তাঁরা এখন একটি টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে আইএনসি পুদুচেরি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টুইট করেছে।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইট করেছেন যে, "কংগ্রেস আদিবাসী সম্প্রদায় এবং মহিলাদের অবমাননা শুরু করেছে৷ কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল দ্রৌপদী মুর্মুকে "ডামি" হিসাবে চিহ্নিত করেছে৷ ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ডের গভর্নর হিসাবে কাজ করার জন্য প্রথম মহিলা আদিবাসী নেতা, ২ বারের বিধায়ক তিনি। এভাবে তাঁকে কেন অপমান করা হবে। এর জবাব কংগ্রেসকে দিতে হবে।"
মুর্মুকে প্রার্থী ঘোষণার করার একদিন পরে, বুধবার সকাল ১১.৩৭ মিনিটে এই টুইট করে। সেখানে তারা লিখেছিল, "বিজেপি রাষ্ট্রপতি হিসাবে একজন ডামি চায় এবং একই সাথে তারা সিডিউল কাস্ট ও সিডিউল ট্রাইবকে প্রতারণা করতে চায়। " এখন অবশ্য পুদুচেরি কংগ্রেস তাদের পোস্ট করা টুইট সরিয়ে দিয়েছে। তাই ওই লিঙ্কে এখন ক্লিক করলে দেখা যাচ্ছে যে 'এই পৃষ্ঠাটির অস্তিত্ব নেই'।
প্রসঙ্গত মুর্মুর মনোনয়ন ক্ষমতাসীন সরকারের একটি চমকপ্রদ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তার মনোনয়ন সম্পর্কে কারোরই ধারণা ছিল না, আসলে, তার নাম ২০১৭ সালেও শীর্ষ সাংবিধানিক পদের জন্য বিজেপির সম্ভাব্য পছন্দের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পাঁচ বছর আগে দলিত রাম নাথ কোবিন্দকে শীর্ষ পদে উন্নীত করার পরে বিজেপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছিল। এবারও তেমন কিছু ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মুর্মু প্রাক্তন ঝাড়খণ্ডের গভর্নর। তিনি নির্বাচিত হলে প্রথম উপজাতীয় মহিলা হবেন যিনি শীর্ষ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাঁর রাষ্ট্রপতি হবার সম্ভাবনা প্রচুর, কারণ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) পক্ষে রয়েছে৷ ওড়িশার অন্যতম পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ময়ূরভঞ্জ থেকে আসা এই নেতা, দলের বিভিন্ন পদে ছিলেন। পদমর্যাদার মাধ্যমে উঠে এসেছেন এবং বিজেপি জোটে থাকাকালীন রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সরকারে। এখন তাঁকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি।