আম্বানি-আদানিদের বিরুদ্ধে নই, কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে!
ক্রমেই জোর বাড়ছে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি অবরোধের ২০ দিন পার হলেও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিকে কংগ্রেস কৃষকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ করে গিয়েছে বিজেপিকে। আর এরই মধ্যে আক্রমণ করা হয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকেও। তবে এবার উল্টো সুর কংগ্রেসের গলায়।
রণদীপ সুরজেওয়ালার বক্তব্য
এদিন কংগ্রেসের তরফে দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, 'আমাকে বিষয়টা স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমরা কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে নই। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। সব প্রাইভেট সংস্থাকে আসতে দিন। আমাদের দাবি, তারা যেন এসে কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল কেনে।'
আম্বানি-আদানিদের বিরুদ্ধে রোষ
এই বক্তব্যের থেকে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায় যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে সমস্যায় ফেলতেই এই আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে কংগ্রেস। তবে ব্যবসায়ী কূলকে যে তারাও সমীহ করেন, তা জানাতে ভুলছে না কংগ্রেস। উল্লেখ্য, একদিন আগেই আম্বানি-আদানিদের নাম নিয়ে কৃষি আইন ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।
আদানি-আম্বানিদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ
সরাসরি আদানি-আম্বানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পাঞ্জাবের খাদুর সাহিবের সাংসদ জেএস গিল। তিনি একটি অভিযোগ করেন গত কয়েক মাসে নাকি আদানি এবং আম্বানিরা দেশে ৫৩টি কৃষিভিত্তিক সংস্থা রেজিস্টার করেছে। উল্লেখিত, কৃষি আন্দোলনের শুরু থেকেই বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তুলেছিল যে, নয়া কৃষি আইন যদি লাগু হয়, তবে দেশে শুরু হবে কর্পোরেট রাজ।
কী বলেন কংগ্রেস সাংসদ?
পাঞ্জাবের খাদুর সাহিবের সাংসদ জেএস গিল বলেন, 'আমার কাছে তথ্য রয়েছে যে আদানি এবং আম্বানির বিভিন্ন গ্রুপ ৫৩টি নতুন কৃষিভিত্তিক সংস্থা রেজিস্টার করিয়েছে। আমরা তাই আমাদের আন্দোলন জারি রাখব, যতদিন না কেন্দ্র এই আইন প্রত্যাহার।' জেএস গিল সহ পাঞ্জাবের সব কংগ্রেস সাংসদরা বর্তমানে দিল্লির জন্তরমন্তরে অবস্থান করছেন কৃষি আইনের বিরোধিতায়।
তালিকা তৈরি করছেন সুনীল মণ্ডল, শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ ৬০ বিধায়কের!