মোদী-রাজ্যে মেগা-প্ল্যান রাহুলের, ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত রেখে ঝড় তুলবেন প্রচারে
মোদী-রাজ্যে মেগা-প্ল্যান রাহুলের, ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত রেখে ঝড় তুলবেন প্রচারে
কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু তারপরও কংগ্রেসের প্রধান মুখ রয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই রাহুল গান্ধীর দেখা মেলেনি হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে। তা নিয়ে কম সমালোচনাও হয়নি। তারপর অবশ্য গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেকে দূরে রাখছেন না রাহুল। গুজরাতে নিয়ে পরিকল্পনা করেই ঝাঁপাচ্ছেন তিনি।
হিমালচলের পর মোদী-রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে রাহুল গান্ধী প্রচারে না থেকে শুধু ভারত জোড়ো যাত্রা করে যাবেন তা হয় নাকি। সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শ মতো তিনি ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে ক-দিনের ছুটি নিয়ে আসছেন গুজরাতে। ভারত জোড়ো যাত্রা এখন মহারাষ্ট্রে অবস্থান করছে। তার পাশের রাজ্য গুজরাতে ভোট ১ ও ৫ ডিসেম্বর। তার আগে ২২ নভেম্বরই রাহুল গান্ধী গুজরাতে পা রাখছেন। তিনি ২২ নভেম্বর থেকে শেষ ল্যাপে প্রচারে ঝড় তুলবেন গুজরাতে।
ভারত জোড়ো যাত্রা মাঝপথে স্থগিত রেখে রাহুল গান্ধী মোদী-রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন। সেই পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস এবার মোদী রাজ্যে পরিকল্পনা করে প্রচার-পর্বকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করেছে। প্রথমে বেশি নির্বাচনী জনসভা না করে জনসংযোগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কংগ্রেস। আর ভোট ঘোষণার পর কংগ্রেস একেবারে শেষ প্রহরে নির্বাচনী জনসভা করে ঝড় তুলতে চাইছে।
২২ নভেম্বর থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীকে একাধিক জনসভা করতে দেখা যাবে গুজরাতে। কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদলের পর মোদী-রাজ্যে ভোট প্রচারে মেগা-প্ল্যান রচনা করেছে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিজেপিকে হারাতে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চলেছে। আগামী ১৫ দিন গুজরাতে ঝড় তুলতে চাইছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পরিকল্পনা করেছেন, আগামী ১৫ দিনে অন্তত ২৫টি মেগা ব়্যালি করতে। এই মেগা-ব়্যালিতে থাকবেন সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা থেকে শুরু করে কংগ্রেসের প্রথম সারির সমস্ত নেতা-নেত্রীরা।
২০২৪-এর আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা দিতে ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকা সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে কংগ্রেস। সেই কারণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিগত দুদিন ধরে সোনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রচার পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। রাহুল গান্ধীকে ভারত-যাত্রা স্থগিত রেখে বেশ কয়েকটি জনসভা করার প্রস্তাবও রেখেছেন।
মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকলেও তিনি গুজরাতে প্রচারে আসবেন সময় বের করে। ইতিমধ্যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে শেষ করেই গুজরাতে পাড়ি দিচ্ছেন। যাবেন সোনিয়া গান্ধীও। শুধু গান্ধী পরিবার নয়, অশোক গেহলট থেকে শুরু করে ভূপেশ বাঘেল এবং ওবিসি, এসসি, এসটি ও সংখ্যালঘু বিভাগের বড় নেতাদের গুজরাতের প্রচারে নামানো হচ্ছে। অশোক গেহলটকে গুজরাতের ভোটের সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নামানো হচ্ছে শচীন পাইলটদের মতো তরুণ-তুর্কি নেতাদেরও।
কংগ্রেস এবার বুথ ম্যানেজমেন্টের উপর বেশি জোর দিয়েছে গুজরাতে। ভিন্ন কৌশলে মোদী রাজ্যে মাত দিতে চাইছে কংগ্রেস। বিজেপি ও আম আদমি পার্টি যখন তিন মাস আগে থেকে জনসভা ও রোড শোয়ের উপর জোর দিয়ে প্রচার পর্ব সারছেন, তখন কংগ্রেস দুয়ারে দুয়ারে প্রচারকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কংগ্রেস বাড়ি বাড়ি প্রচারে আর ছোটো ছোটো সভা করে জনসংযোগকে প্রধান হাতিয়ার করে এগোচ্ছে। একেবারে শেষ ল্যাপে তারা নির্বাচনী জনসভা পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই পরিকল্পনামাফিকই ১৫ দিনে ২৫ ব়্যালি। রাজ্য নেতাদের পর আশরে নামছেন কংগ্রেসের জাতীয় নেতারাও।
মল্লিকার্জুন খাড়গে গুজরাতের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করে চূড়ান্ত করে ফেলেছেন পরিকল্পনা। ১২৫টি বিধানসভা কেন্দ্রকে বেছে নিয়ে ২৫টি মেগা ব়্যালি করার স্থান চূড়ান্ত হয়েছে। যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের শক্তি বেশি সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে বেছে নিয়ে এই ব়্যালি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দলে ঐক্যের বার্তা দিয়ে এই প্রচার পরিকল্পনার সার্থক রূপায়ণে বিজেপিকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়াই লক্ষ্য খাড়গের।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পদে! খুব তাড়াতাড়ি আবেদন করতে হবে