Adani Controversy: LIC-SBI-র শাখা থেকে সংসদ, আদানি ইস্যুতে দেশব্যাপী কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি
আদানি ইস্যুতে প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে তিনটি করে প্রশ্ন সামনে রাখার সিদ্ধান্তের পরে আন্দোলন আরও জোরদার করতে পদক্ষেপ কংগ্রেসের। সোমবার সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
আদানি ইস্যুতে সোমবার দেশব্যাপী কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি। এই বিক্ষোভ একদিকে যেমন হবে এলআইসি-এসবিআই-এর শাখাগুলির সামনে, ঠিক তেমনই বিক্ষোভ হবে সংসদেও। দিল্লিতে ব্যাঙ্ক ও এলআইসির সামনে এই বিক্ষোভ করবে যুব কংগ্রেস।
অন্যদিকে দলের সাংসদরা সংসদের ভিতরে গান্ধী মূর্তির কাছে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছেন।
কংগ্রেসের কর্মসূচি ঘোষণা
কংগ্রেসের অভিযোগ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীজির বন্ধুদের জনগণের টাকা লুট করতে সাহায্য করছে। এরই প্রতিবাদে সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি এলআইসি এবং এসবিআই-এর অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরো ঘটনায় জেপিসি কিংবা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
শুক্রবার ব্যাপক হই-হট্টগোল
২৪ জানুয়ারি আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানেই অভিযোগ করা হয়, আদানি গোষ্ঠী শেয়ারের দাম কৃত্তিম ভাবে বাড়িয়ে রেখেছে। আর এর পরেই শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে কমতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর ৭ টি সংস্থার শেয়ারের দাম ১০০ কোটি ডলার ওপরে হ্রাস পায়। এই বিষয়টি নিয়েই কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি, তা না হলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি করে।
কেলেঙ্কারিতে সাধারণ মানুষের অর্থ
বিরোধীদের অভিযোগ, আদানিদের কেলেঙ্কারিতে সাধারণ মানুষের অর্থ জড়িত রয়েছে। সেখানে এলআইসি কিংবা এসবিআই যে বিনিয়োগ রয়েছে, তা সাধারণ মানুষের অর্থই। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারে মূল্য হ্রাসের জেরে ক্ষতি হয়েছে এলআইসি এবং এসবিআই-এর। যদিও এই দুই সংস্থাই সরকারি ভাবে তাদের ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি।
মোদী সরকারকে নিশানায় তিন প্রশ্ন
রবিবার কংগ্রেসের তরফে মোদী সরকারকে নিশানায় হিন্ডেনবার্গ- আদানি দ্বন্দ্ব নিয়ে তিন প্রশ্ন করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে প্রথম প্রশ্নে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানিকে নিশানা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি স্টকম্যানিপুলেশনে জড়িত। এই ব্যক্তি বাহামা এবং ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে অফশোর এন্টিটিস পরিচালনা করেন। তিনিই শেল কোম্পানিগুলির মাধ্যমে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
কংগ্রেসের
তরফে
এদিনের
দ্বিতীয়
প্রশ্নে,
প্রধানমন্ত্রী
মোদীকে
নিশানা
করে
বলা
হয়েছে,
রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষকে
ভয়
দেখাতে
এবং
বন্ধুদের
আর্থিক
স্বার্থ
বিরোধী
ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানকে
শাস্তি
দিতে
ইডি,
সিবিআই
এবং
আয়কর
দফতরকে
ব্যবহার
করেছে।
কংগ্রেসের
অভিযোগ,
আদানি
গোষ্ঠীর
বিরুদ্ধে
বছরের
পর
বছর
ধরে
অভিযোগ
উঠলেও,
তদন্তের
ক্ষেত্রে
কোনও
ব্যবস্থা
নেয়নি
মোদী
সরকার।
এই
পরিস্থিতিতে
প্রধানমন্ত্রী
অধীনে
কি
সুষ্ঠু
ও
নিরপেক্ষ
তদন্তের
আশা
করা
যায়,
সেই
প্রশ্ন
তুলেছে
কংগ্রেস।
এছাড়াও
কংগ্রেসের
প্রশ্ন
যাঁর
বিরুদ্ধে
এত
গুরুতর
অভিযোগ
তাদের
হাতে
কীভাবে
বিমানবন্দর,
সমুদ্রবন্দর
তৈরি
করার
একচেটিয়া
অধিকার
দেওয়া
যায়?