দিল্লির নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস, নৈতিক দায় নিয়ে ইস্তফা সভাপতির
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস খাতা খুলতে পারেনি। কংগ্রেসের ভরাডুবির সেই দায় মাথায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষ চোপড়া।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস খাতা খুলতে পারেনি। কংগ্রেসের ভরাডুবির সেই দায় মাথায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষ চোপড়া। দিল্লি নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসতেই তিনি পদ ছাড়েন। পদত্যাগের পর তিনি বলেন, দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে দলের এই পরাজয়ের নৈতিক দায় আমি অস্বীকার করতে পারি না।
এবার দিল্লির নির্বাচনে কংগ্রেস ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল। শুধু আসন না পাওয়াই নয়, এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর দলের এতটাই শোচনীয় পরিস্থিতি যে প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশও তারা পেল না। এবার কংগ্রেসের পারফরম্যান্স গ্রাফ এতটাই নিচে যে তাদের ৬৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
Subhash Chopra, Congress: I take the responsibility for the debacle of the party in #DelhiAssemblyPolls. I had less time, but still I put all my efforts. I have never seen such politics in Delhi ever, where voters got influenced by the advertisements done by AAP and voted for it. https://t.co/LnMAuqezRc pic.twitter.com/C4XgBqSIrv
— ANI (@ANI) February 11, 2020
কংগ্রেসের বেশিরভাগ প্রার্থীই তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকাতে প্রাপ্ত মোট ভোটের পাঁচ শতাংশেরও কম পেয়েছিলেন। দিল্লী কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ চোপড়ার কন্যা শিবানী চোপড়া তাঁর কালকাজি কেন্দ্র থেকে জামানত বাঁচাতে পারেননি। দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা সিংয়েরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম আজাদ খুব খারাপভাবে হেরেছেন। চতুর্থ স্থান পেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট মাত্র ২,৬০৪, যা শতাংশের বিচারে মাত্র ২.২৩ শতাংশ।
কোনও নির্বাচনী কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোটের এক-ষষ্ঠ অংশ সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হলে প্রার্থীর নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। মাত্র তিনজন জামানত বজায় রাখতে পেরেছে। গান্ধীনগর থেকে অরবিন্দর সিং লাভলি, বাদলি থেকে দেবেন্দ্র যাদব এবং কস্তুরবা নগর থেকে অভিষেক দত্ত তাঁদের জামানত বাঁচাতে পেরেছেন মাত্র।